বিশেষ প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্বরোডে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেয়া কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার সেই তরুণীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণের পরই তাকে হত্যা করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এই তথ্য জানিয়েছেন। কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন পুরো হত্যাকান্ডটির আদ্যোপান্ত বের করেছে। ওই ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সিএনজি চালক জয়নালকে (১৮) আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সেই সিএনজিও।
এই ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন (৩০) নামে একজন পালিয়ে আছে। তাকে ধরতেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র্যাবের বিশেষ টিম।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই নারী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনে। কিন্তু পুনরায় আবারো পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। প্রতিমধ্যে একটি ব্রীজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ী থেকে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতকরা এতো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যে চলন্ত গাড়ীর থেকে ফেলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ীটির সামনে ফেলে দেয় তারা। ওই গাড়ীর ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লখ্যে যে, ৬মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্ব রোডে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। তার ফুফি ও ফুফাতো ভাই এ হত্যার জন্য দায়ী করে তার বাবা। কিন্তু আসল ঘটনা উদঘাটন করলো র্যাব-১৫।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-