গত ৩০ এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় পত্রিকায় “উখিয়ায় ২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ১” শীর্ষক সংবাদটি আমার পরিবারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
উল্লেখিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে প্রচারিত হয়েছে। সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। মূলকথা হলো, জব্দকৃত সরকারি চাল গুলোর মালিক একটি সিন্ডিকেট। যারা প্রশাসন থেকে বাঁচতে আমার ভাইয়ের (আকতারের) দোকানে রেখে গাঢাকা দেয়। পরে উখিয়ার ইউএনও মহোদয় আসলে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন আমার ভাইকে ডেকে এনে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। অথচ আকতার চাউলের ব্যাপারে কিছুই জানত না এবং যে ঘটনাটি হয়েছে তাতেও জড়িত ছিল না।
মূলকথা হলো সেদিন, থাইংখালী এলাকার একটি সিন্ডিকেট যথাক্রমে হাকিম পাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিম উদ্দিন, মৃত ইলিয়াছের ছেলে লেড়ু ও খাটাখালী এলাকার সাবের এরা তিন জন চাউল গুলো সংগ্রহ করেছিল । পরবর্তীতে তারা চাউল গুলো স্থানীয় ধামনখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোঃ ইসহাককে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করছিল । এমতাবস্থায় তারা (ইসহাকসহ) জানতে পারে যে তাদের মজুদকৃত চাউলের খবর উপজেলা প্রশাসন জানতে পেরেছে এবং থাইংখালী বাজারে অভিযানে আসছে। তাই তারা সেসময় কোন উপায়ান্তর না দেখে দ্রুত পার্শ্ববর্তী আমার ভাইয়ের দোকান (আকতারের দোকান) বারান্দায় রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন অভিযানে আসলে চাউলের বস্তা গুলো আকতারের দোকানে পেলে ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার আকতারকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বললে আকতার যখন আসে তখন সে এসব দেখে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বললে মেম্বাররা যাচাই-বাছাই না করে তাকে প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেই। যার কারণে নিরপরাধ আকতারকে হাজতে যেতে হয়েছে। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাৎক্ষনিক যাচাই-বাছাই করলে আমার নিরপরাধ ভাইকে হাজতে যেতে হতো না।
যথারীতি এগুলো আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। পরবর্তীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ঘটনার সত্যতা জানতে পেরেছেন।
আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনকে উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আমার নিরীহ ভাইকে মুক্তি দিতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
বিনীত
মোঃ শামসুল আলম
পিতা: মৃত রশিদ আহমদ
রহমতের বিল, পালংখালী
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-