নিজস্ব প্রতিবেদক ◑ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নূর জোহার হত্যা মামলার ২ নং আসামি জসিম উদ্দিনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (২০ এপ্রিল) রামু উপজেলার চেইন্দা লারপাড়া থেকে এই সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। মঙ্গলাবার (২১ এপ্রিল) বিকালে আদালতের মাধ্যমে জসিম উদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এসআই আরিফ উল্লাহ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি জসিম উদ্দিন শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া সমিতি বাজার এলাকার জলিল আহমদের ছেলে। আর নিহত নূর জোহা একই এলাকার মরহুম হোসেন আহমদের ছেলে।
সদর থানার এসআই আরিফ উল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সকালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নূর জোহাকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ শহরের পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সমিতি বাজার সংলগ্ন ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় নূর জোহারের মা বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলার দুই নাম্বার আসামি জসিম উদ্দিন। এর`আগে ৩১ মার্চ মামলার প্রধান আসামী একরামকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরিফ বলেন, নূর জোহাকে হত্যার পর থেকে ঘটনায় জড়িত সবাই পলাতক ছিল। কিন্তু দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ৩১ মার্চ এক নাম্বার আসামি একরামকে আটক করি। এরপর সোমবার (২১ এপ্রিল) গভীররাতে আটক করা হয় দুই নাম্বার আসামী জসিম উদ্দিনকে। রামুর চেইন্দা এলাকায় সে আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেপ্তার আসামির বরাত দিয়েই এসআই আরিফ বলেন, সন্ত্রাসী নূর জোহাকে তারা তিনজনেই মিলে হত্যা করেছে। সকালে সমিতি বাজার এলাকার শাহ আলমের চায়ের দোকান থেকে নূর জোহাকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে ব্রিজের নিচে লাফ দেয় নূর জোহা। পরে ব্রিজের নিচে গিয়েই তাকে গলা কেটে হত্যা করে একরামসহ তিনজন। এই ঘটনায় আরো একজন পলাতক রয়েছে। বুধবার ( ২১ এপ্রিল) বিকালে সন্ত্রাসী জসিম উদ্দিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জসিম। হত্যার ঘটনায় সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আদালতে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশনা দেন ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-