নারায়ণগঞ্জ থেকে চকরিয়ায় নৌ-সড়ক পথে যোগাযোগ অব্যাহত, করোনার ঝুঁকি চরমে!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ◑

ঢাকা-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে চকরিয়ায় আসা-যাওয়া চলছে মালবাহী গাড়ি আর সাগর পথে লবণ বোঝাই বোট। এনিয়ে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

স্থানীয়রা এমনটাই দাবী তুলে বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, চরনদ্বীপ, ডুলাহাজারা, খুটাখালী ও পেকুয়ার মগনামা ঘাট থেকে নারায়নগঞ্জে সাগরপথে প্রতিদিন লবণ বোঝাই বোট যাওয়া-আসা চলছে। চকরিয়া পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে তরমুজ বোঝাই ট্রাক।

স্থানীয়দের অভিমত, মহামারি করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালামাল পরিবহনে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে করোনো ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও প্রতিদিন বড় বড় মালবাহী ট্রাক ও সাগরপথে চকরিয়ায় লবণের বোঝাই বোট যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। এতে করোনা ভাইরাস বিস্তারের চরম আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চকরিয়া পৌরসভা এলাকার জয়নাল আবেদীন নামের ব্যক্তি জানান, ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরবাস টার্মিনাল ও কাঁচাবাজার। নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে নিয়মিত তরমুজের গাড়ি প্রবেশ করছে। এর থেকে চকরিয়ায় কোনভাবে কেউ সংক্রমিত হলে এর থেকে চরম আকার ধারণ করতে পারে!

ডুলাহাজারায় একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানায়, স্থানীয় উলুবনিয়া এলাকার পশ্চিমা ঘাট থেকে প্রতিনিয়ত চার-পাঁচটি লবণ বোঝাই বোট নারায়নগঞ্জ যাওয়া-আসা করছে। সেখান থেকে ফিরে স্থানীয় বাজারে আসা যাওয়া করছে মাঝিমাল্লা ও বোট শ্রমিকরা। নারায়নগঞ্জে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তাদের মাধ্যমে যদি কোনভাবে করোনা ভাইরাস চকরিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

বিষয়টি তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, চকরিয়ার হারবাং ও বরইতলীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুইটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শুধু নিত্যপণ্য নিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারবে।

ডুলাহাজারা, চোঁয়ারফাড়ি ও বদরখালী এলাকা থেকে লবণ বোঝাই বোটে করে কারা আসছে-যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর