ডেস্ক রিপোর্ট ◑ সরকারি ত্রাণ নেওয়ার সময় ছবি তুলতে অনিহা প্রকাশ করায় কয়েকজন দুস্থ ও অসহায় মানুষের গায়ে হাত তুলেছেন স্থানীয় দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রাণ দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় ত্রাণ নেওয়ার সময় কয়েকজন দুস্থ ও অসহায় মানুষের গায়ে হাত তোলেন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দুর্যোগে বাংলাদেশে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন মানুষ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ অনেক। জেলা পর্যায়ে এমন অভিযোগের কমতি নেই। এমনই অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, এরআগেও ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস। এ কারণে ২০১৭ সালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার বিরুদ্ধে পরিষদের নির্বাচিত ১২ সদস্যের (মেম্বার) সবাই অনাস্থা প্রস্তাব পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বাংলনিউজকে জানান, মহামারির সময় কতো ধরনের লোক কতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি আগেও পাঁচ বছর মেম্বার ছিলাম, এখনও আছি। কেউ বলতে পারবে না এ পর্যন্ত কোনো খারাপ কাজ করছি। চেয়ারম্যানের কথা আর বলার কিছু নাই। এসব চেয়ারম্যান চলে নাকি। যারা জনগণের সুখ-দুঃখ না বোঝে। চেয়ারম্যান অনেক সময় সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না।
এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক না। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এর পরেই তিনি ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-