ইমাম খাইর ◑
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে গরু জবাই না করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মানে নি অনেকেই।
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গরু জবাই করা হয়েছে বলে খবর এসেছে। প্রশাসনের চোখ এড়াতে অনেকে রাতের বেলায় কাজ সেরে ফেলেছে।
তবে, কক্সবাজার শহরের প্রধান বাজার ‘বড়বাজারে’ প্রতিদিন গরু জবাই করলেও আজকে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় নি। সেখানকার চিরচেনা গরুর মাংস ব্যবসায়ীরা (কসাই) গল্পগুজবে অলস সময় কাটাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায়, নতুন বাহারছড়া, বিমানবন্দর এলাকা, নতুন জেলখানা, পাহাড়তলী, কলাতলী, খরুলিয়া নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজার, উখিয়ার মরিচ্যা, কোটবাজার, ঈদগাঁও, খুটাখালীসহ অনেক জায়গায় গরু জবাই করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বেচাকেনাও হয়েছে।
শহরের বাহারছড়ার এক বাসিন্দা জানিয়েছে, শবে বরাতে গরু জবাই না করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে বাজারছরা মসজিদের দক্ষিণ পাশে হান্নান এপার্টমেন্টের ভেতরে গরু জবাই করা হয়েছে। চলেছে ভাগ-বাটোয়ারার জমজমাট আসর।
উখিয়ায় মরিচ্যায় কসাইদের বাড়ি বাড়ি দীর্ঘ লাইন দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদকর্মী এ এইচ সেলিম উল্লাহ। এছাড়াও কোটবাজার স্টেশনেও মাংস কিনতে ক্রেতাদের ভীড় ছিল বেশী। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবরার শাওন রোস্তম জানান, এই এলাকার মানুষের মনে ভয় বলতে কিছু দেখলাম না। বিশ্বে করোনা আতংকে কাপছে অথচ কোটবাজার এলাকার মানুষ গুলোর মাঝে করোনার ভয়ভীতি নেই। প্রশাসন থাকলে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দূরে সরে থাকে, আর যেই প্রশাসন সরে অন্যত্র গেছে আবার জনসমাগম করে আড্ডায় মেতে থাকে।
পিএমখালী থেকে এম আই চৌধুরী জানিয়েছেন, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজারে পাঁচটি গরু জবাই হয়েছে। বিক্রিও ভালো হয়েছে। খরুলিয়ার চিত্র একি বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল।
হানা বাবুলের বাড়িতে (মোকতারকুল জামে মসজিদের সামনে) সফর মিয়া ও মোকতার নামে দুই ব্যক্তি গরু জবাই করেছে।
আব্দুল্লাহ আল আজিজ, ইনানী থেকে আব্দুল হামিদ খান, ঈদগাঁও থেকে নুরুল হুদা, খুরুশকুল থেকে মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীনসহ অনেকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, গত রাতে এবং আজ সকালে প্রচুর পরিমাণ গরু জবাই হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি এইচ এম এরশাদ নিজের ফেসবুকে টাইমলাইনে লিখেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় একদিন আগেই লকডাউন করে জেলাজুড়ে গরু-মহিষ জবাই না করার এবং কোথাও লোকসমাগম না ঘটানোর নির্দেশ জারি করেছেন। উখিয়ার কোটবাজারে কসাইরা সকালে এত লোক জমায়েত করল কিভাবে? কোথায় উখিয়ার প্রশাসন? এভাবে লোকসমাগম হলে করোনা প্রতিরোধ কি সম্ভব?
প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-