নারায়নগঞ্জ থেকে পিকআপে টেকনাফ এসে তাবলিগের ১১ জন কোয়ারেন্টিনে

টেকনাফ প্রতিনিধি ◑

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত আসা তাবলিগ জামাতের ১১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

সোমবরার রাতে উখিয়ার ইনানী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তাদের রাখা হয়। এর আগে তাদের চকরিয়া পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে আটকানো হয়েছিল। তাদের সবার বাড়ি টেকনাফের শামলাপুর গ্রামে, যাদের অধিকাংশ ছাত্র।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, যেহেতু করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসাবে নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাই ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে, সে অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সুস্থ্যভাবে কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তারা বাড়ি ফিরে যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে পিকআপ ভ্যানে করে তাবলিগ জামাতের ১১ জন মুসল্লি নারায়নগঞ্জ থেকে টেকনাফে আসেন। এ সময় চকরিয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকির কাছে আসলে পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মুসল্লিরা জানান, তারা নারায়নগঞ্জে থেকে তাবলিগ জামাত শেষে এলাকায়  (টেকনাফে)  ফিরছিলেন।

গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে টেকনাফ থেকে কিছু ছাত্রসহ  তাবলিগ জামাতের একটি দল বের হয়েছিল। বর্তমানে তাদের উখিয়ার ইনানী এলাকায় অবস্থিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টানে রাখা হয়েছে। এর আগে এই সেন্টারে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ফেরত ৬ রোহিঙ্গা কোয়ারেন্টিনে ছিল। তার মধ্যে একজন ভাল হয়ে ফিরে গেছে। এখন সেখানে মোট ১৬ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ৪৯২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। তারমধ্যে ৪২৩ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছে। বাকি ৬৯ জনের কোয়ারেন্টাইন চলছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ূয়া জানান, কক্সবাজারে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে কারো কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৪ মার্চ ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে সৌদি ফেরত এক নারীর করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও খবর