করোনা মোকাবিলায় দিনরাত ছুটছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল

নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ ◑
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনকে সচেতন করতে নিজেই পথে পথে প্রচারবিলি করে প্রচারণা চালাচ্ছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দিনরাত সমানতালে ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। নিজেই বাজারে বাজারে গিয়ে জনসাধারণকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। আবার কখনও গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে নিশ্চিতে ঘুরছেন। করোনা প্রতিরোধে সোমবার সারাদিন কাজ করেও সন্ধায় বেরিয়ে পড়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের খোঁজ খবর নিতে। তিনি টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল এর আন্তরিক প্রচেষ্টা দৃষ্টি কেড়েছে এই সীমান্ত উপজেলায়। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় গ্রামেগঞ্জে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং রাস্তার পরে থাকা প্রতিবন্ধিদের খাবার বিতরণসহ সবই সামলাতে ব্যস্ত তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই তিনি এ উপজেলাবাসীকে শতভাগ সুচিকিৎসা দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। যেভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছিল, তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, আন্তরিকতা থাকলে একজন চিকিৎসক একটি উপজেলার প্রত্যাক মানুষ চিকিৎসা সুনিশ্চতসহ এই দূর্যোগে অনেক কিছু করতে পারেন; উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল তারই উদাহরণ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং পিছিয়ে পড়া সীমান্তের উপকূলীয় এ উপজেলাকে এগিয়ে নিতে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এখানকার জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও খুবিই আন্তরিক। তাদের কারণেই প্রতি মুহূর্তে কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছি।

আরও খবর