বিশেষ প্রতিবেদক ◑
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নতুন কৌশলে সাগর উপকূলীয় কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ীরা।
প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন ‘হোম সার্ভিস’ চালু করেছে। একই সঙ্গে ইয়াবা পাচারের জন্য নৌপথের পুরনো রুটগুলো ফের সক্রিয় করেছে। এসব রুট দিয়েই বর্তমানে আসছে ইয়াবার চালান। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের কৌশল পরিবর্তনের কথা বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসার ভাটা পড়লেও কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়াড়স্থ উপকূলীয় সমিতি পাড়া বইছে এ ব্যবসার গণজোয়ার।
এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে মরণব্যাধি ইয়াবা ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে ঘরে ঘরে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা বলছেন, এদের কেউ কেউ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গডফাদার। আবার বড় একটা অংশ সরাসরি ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকাজুড়ে গড়ে উঠা ইয়াবা কারবারিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তারা এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসব ইয়াবা কারবারিদের টিকিটিও ছুঁতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের বাসাবাড়িতেও পুলিশ এ পর্যন্ত কোনো অভিযান বা তল্লাশিও চালায়নি।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার উপকুলীয় ১নং ওয়ার্ডস্থ সমিতি পাড়া এলাকার বিভিন্ন মহল্লা ভিত্তিক প্রায় দুই ডজন ইয়াবা ব্যবসায়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
একটি বিশেষ সংস্থার তথ্য মতে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুতুবদিয়া পাড়াস্থ ফদনার ডেইল এলাকার কাজী আব্দুল হামিদের পুত্র ঈসমাইল মুন্না, আব্দু শুক্রুরের পুত্র আবছার কামাল, মাহাফুজুর রহমানের পুত্র মো: জাহেদ, নুরুল কবিরের পুত্র মুবিনুল হক, আজগর আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ (মাঝি) ও ফোরকান আহাম্মদের পুত্র নুরুল ইসলাম (পতন)।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন, করোনাভাইরাস রোধে শহরের রাস্তায় জনসমাগম ঠেকাতেই ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ সুযোগে শুরু হয়েছে রমরমা মাদকের কারবার। খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বাড়িতে বসছে মাদকের আসর। সেদিকে নজর দেওয়ার সময় খুব কমই পাচ্ছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সহজ স্বীকারোক্তি এসেছে পুলিশের পক্ষ থেকেও।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ কারণে মাদকবিরোধী অভিযান কিছুটা কমে এসেছে।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।
এদিকে, সমিতি পাড়া এলাকার সচেতন মহলের দাবী মাদকের ভয়াল থাবার হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছেনা উঠতি বয়সের যুব সমাজদের। তাই দ্রুত মাদক বিরুধী অভিযান জোরদার করা প্রয়োজন।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছেন, এই সব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক, মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের বাসাবাড়িতে অভিযানই চালায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উল্টো তারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাদক বিরোধী অভিযানের পরও কীভাবে তারা ঘুরে বেড়ান- এটিই এখন স্থানীয়দের কাছে ‘অপার রহস্য! /গণসংযোগ
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-