ডুলাহাজারায় ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ◑

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১৭৫ পরিবারকে ২০ কেজি চাল প্রদানের কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮-৯ কেজি করে।

গত বুধবার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা সরকারি ত্রাণ নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় গৃহবন্দি হত দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের ত্রান সামগ্রী প্রদান করছে সরকার। আরো এগিয়ে আসছে সমাজের হৃদয়বান লোকজন ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা। তবে ইতিপূর্বে সরকারি ত্রাণসামগ্রী সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণের দাবী উঠে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জামাল হোছাইন অভিযোগে জানান, সরকারি নির্দেশনায় ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ১৭৫ পরিবারকে ২০ কেজি করে ত্রাণের চাল প্রদান কথা বলা হয়েছে। তৎমধ্যে পরিষদের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগকে ষাট হতদরিদ্র পরিবারের তালিকা জমা দিতে বলা হয়। সে লক্ষ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিটি ওয়ার্ডে দরিদ্র কর্মীদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় কাউকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান, সচিব ও মেম্বারদের যোগসাজশে ত্রাণের চালগুলো নিয়ে ছয়নয় চলেছে।

সংগোপনে চালগুলো ওয়ার্ড মেম্বারদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো দাবী করেন এসব চাল বিতরণে চলেছে চরম অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি।

প্রতি পরিবার বিশ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছে মাত্র ৮-৯ কেজি করে। অবশিষ্ট চাল গেল কোথায়? এমনই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তিনি।

ভুক্তভোগী একাধিক ত্রাণ গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ত্রাণের চাল পেয়েছে ৮ থেকে ১০ কেজি করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন ও মোঃ সোলাইমান জানান, বিশ কেজি করে ত্রাণের চাল বিতরণ করার কথা ছিল।

পরে এলাকায় লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় ইউএনও স্যারের নির্দেশে প্রতি জনকে দশ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।

পরিষদের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় গৃহবন্দি মানুষের জন্য পরিষদে ৩ টন ৬শ কেজি চাল বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। প্রথমে ১৭৫ পরিবারকে বিশ কেজি করে চাল প্রদানের কথা থাকলেও লোকসংখ্যার তালিকা আধিক্য পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে দশ কেজি করে প্রদান করা হয়েছে।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল আমিন বলেন, আওয়ামিলীগ পরিবার জন্য কোন ত্রাণের চাল পরিষদে আসেনি। এমপি’র পক্ষ থেকে তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান, ডুলাহাজারায় নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় গৃহবন্দি দরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল দশ কেজি করে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা বিশ কেজির স্থলে দশ কেজি করে প্রদান করলে বেশি সংখ্যক পরিবার ত্রাণের চাল পাবে।

আরও খবর