বিশেষ প্রতিবেদক ◑
উখিয়ার জালিয়াপালং সোনাইছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আবছার নান্নুর মা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা নান্নু, সাবেক যুবলীগ নেতা আলী হোসেনসহ ৭ জন।
এ ঘটনায় পুলিশ উল্টো নিহত পরিবারের এক সদস্যকে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের উপস্থিতি এমন নারকীয় ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত তিন দিন আগে নান্নুর জীবাণু নাশক স্প্রে ছিটানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’ পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা নান্নুসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
আজ সন্ধ্যায় মামলার আসামীরা বাড়ীতে আছে, এ খবরে তাদের ধরতে স্থানীয় মেম্বার শামশুল আলম প্রকাশ শমশু ডাকাতের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা নান্নুর ঘরে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দা, ছুরি, হন্দি, লাঠিসোটাসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা নান্নু, নান্নুর ভাই আহমেদ শরীফ, পিতা আলী হোসেনকে মারধর করে।
স্বামী, সন্তানদের মারধর করতে দেখে এগিয়ে আসেন নান্নুর মা নুর নাহার। সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করেন। এক পর্যায়ে নান্নুর ভাই আহমেদ শরীফকে ধরে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে।
অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের মারধর ও ঘটনার নির্মমতা সইতে না পেরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন নান্নুর মা নুর নাহার। তাকে দ্রুত কোটবাজার অরজিন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় স্হানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা করে। সন্ত্রাসীরা স্থানীয় মো উল্লাহ, ছানা উল্লাহ, এবং যুবনেতা সোনাইছডির আলী হোসাইনের উপর এলোপাতাডি দা কিরিচ লাটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আশংকাজনক অবস্থায় যুবনেতা আলী হোসেন উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-