তুষার তুহিন :
“বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অল্প কয়েকজন লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে গঠিত করোনা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। তাদের কারো শরীরের করোনা ভাইরাসের জীবাণুর সন্ধান মিলেনি। আগে যে নারীর শরীরের করোনার ভাইরাস পাওয়া যায় পরে পরীক্ষা করে তার শরীরেও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বুধবার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালে কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনার যে ছেলেটি মারা গেছে তার বেলায়ও করোনা নেগেটিভ। তবুও আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। দৈহিক দুরত্ব বজায় রেখে এই করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে।”
জেলাবাসীকে এমন সুখবর শুনালেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া।
অধ্যক্ষ আরো বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া কেউ যদি স্বেচ্ছায় পরীক্ষা করতে চাই তবে জেলা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আমাদের টেকনোলজিস্ট গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনবে। তার আগে নমুনার হিস্টরি, শরীরের লক্ষণ ও উপসর্গ যাচাই-বাছাই করা হবে। এদিকে সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে বর্হি:বিভাগ ও জরুরী বিভাগে আলাদাভাবে ফ্লু কর্ণার গঠন করা হয়েছে।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুমন বড়ুয়া বলেন, জ¦র সর্দি কাশি এসব উপসর্গ নিয়ে যারা চিকিৎসা নিতে আসছে তাদের সকলকেই বর্হি:বিভাগ ও জরুরী বিভাগে আলাদাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের চিকিৎসার জন্য জরুরী বিভাগে তিনটি আলাদা কর্ণার করা হয়েছে। লাল, হলুদ ও সবুজ নামের এই তিনটি কর্ণারে উপসর্গ অনুযায়ী রোগী রাখা হচ্ছে।
জ¦র, সর্দি, কাশি উপসর্গের রোগীদের সবুজ কর্ণারে রাখা হয়েছে। এছাড়া কোন রোগীর লক্ষণ ও উপসর্গ করোনার হলে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত তাকে হলুদ কর্ণার বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। আর যাদের শরীরে করোনার জীবানু পাওয়া যাবে তাদেরকে রেড বা আইসোলেশনে রাখা হবে। তবে এখন আইসোলেশনে কেউ নেই ।
এবিষয়ে ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, প্রাথমিক লক্ষন নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অনেক বৃদ্ধ চিকিৎসা নিতে এসেছিল। তবে তাদের শরীরের করোনা নেগেটিভ। আমরা কোন রোগীর প্রাথমিক লক্ষন দেখেই তার পরীক্ষা করছি না আপাতত। লক্ষনের পাশাপাশি কোন বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শে তিনি এসেছেন কিনা তাও যাচাই করছি।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের যেসব চিকিৎসক ও সেবিকারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। তাদেরও পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের সকলেই কোয়ারেন্টাইনের জীবাণুমুক্ত। শনিবার থেকে কক্সবাজারের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-