নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজার শহরতলীস্থ কলাতলী মোড় থেকে ট্যুরিস্ট সার্ভিস নামে নাম্বার বিহীন গাড়ী নিয়ে স্থানীয় যাত্রী পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগটি ‘বীচ ট্যুরিস্ট মিনি কার সার্ভিস ও দোয়েল কার সার্ভিস’ নামক দুইটি প্রতিষ্ঠানের নামে। এর প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার জেলা অটোরিক্সা, সি এনজি টেম্পো পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং- ১৪৯১ চট্ট: পক্ষে ১২নং ওয়ার্ড ট্রেড ইউনিয়ন শাখা কলাতলী মোড়’র সভাপতি হাফেজ নুরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বরাবর দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বসবাসরত উল্লেখিত পয়েন্ট ও স্থানসমুহে সর্বসাধারণের সুবিধার্থে সিএনজি গাড়ী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে হতে কক্সবাজার শহরতলীস্থ কলাতলী মোড়ে ট্যুরিস্ট সেবার লক্ষ্যে “বীচ ট্যুরিস্ট মিনি কার সার্ভিস ও দোয়েল কার সার্ভিস” নামক দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নাম্বার বিহীন গাড়ি উল্লেখিত স্থানে স্থানীয় যাত্রীদের নিয়ে ভাড়া মারতে থাকে।
কিন্তু দু:খের বিষয়, দিন দিন উক্ত প্রতিষ্ঠানদ্বয় ট্যুরিস্ট ভাড়ার আড়ালে স্থানীয় লোকজন, অর্থাৎ কক্সবাজার, হিমছড়ি, সোনার পাড়া, শাপলাপুর ও টেকনাফ সদর’র বসবাসরত যাত্রীদের আনা-নেওয়া করে। উক্ত বিষয়ে প্রথম দিকে বাঁধা দিলে, তারা স্থানীয় যাত্রীদের নিয়ে ভাড়া মারছে না বলে অস্বীকার করে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন কলাতলী মোড়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি নাম্বার বিহীন গাড়ি ওই লাইনে পর্যটকদের বাদ দিয়ে স্থানীয় যাত্রীদের নিয়ে প্রকাশ্যে আসা-যাওয়া করে।
পুণরায় বাঁধা দিলে, তারা উল্টো মালিক,চালক শ্রমিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানান ধরণের গালি-গালাজ করে। আরো বলেন কলাতলী মোড়, তথা কক্সবাজার টেকনাফ রোড’এ সিএনজি গাড়ী বন্ধ করার হুমকি-ধমকি দেয়। ওই নামার বিহীন গাড়ীগুলো ট্যুরিস্ট ভাড়ার বদলে বহির্ভূতভাবে স্থানীয় যাত্রীদের পরিবহনের কারণে ওই সিএনজি মালিক, চালক ও শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। ওই নাম্বার বিহীন গাড়ী ও দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে মালিক ও চালকেরা বলেন, ওইসব নাম্বার বিহীন গাড়ীর যারা নেতৃত্ব দেন তারা হলেন, বাহারের নেতৃত্বে জহির, আব্দুস সালাম ভেট্টু, আব্দুল্লাহ আল মুবিন, ইয়াসিন আরফাত, মোহাম্মদ আমিন ও লাইনমেন্ট মো, বেলাল।
কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট আসা একেবাইরে বন্ধ ঘোষনা করেছিল জেলা প্রশাসন। কিভাবে নিয়মিত ওই সমস্ত গাড়ী যাতায়াত করতে পারে। ওই ট্যুরিস্ট সার্ভিসগুলো প্রাইভেট হিসেবে আখ্যায়িত। তবে কিভাবে লোকাল যাত্রী নিয়ে চলাচল করে থাকে। জনপ্রতি ৩০০ টাকা হারে যাত্রী বহন করে থাকে কলাতলী টু টেকনাফে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-