রাসেল চৌধুরী ◑
এমনিতেই ১১ লাখ রোহিঙ্গার চাপে পৃষ্ট হওয়ার অবস্থায় উখিয়াবাসী। আমাদের উখিয়া আজ আর আমাদের হাতে নেই। এর নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রোহিঙ্গা ও তাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলোর হাতে।
আমাদের জনপদে আমাদের চলতে হয় জম্ম নিবন্ধন, ন্যাশনাল আইডি কার্ড হাতে নিয়ে! দফায় দফায় জেরার মুখে!! আমাদের চিরচেনা উখিয়ায় কতোদিন প্রাণখোলে নি:শ্বাস নিতে পারিনা। ধুলো বালির কারণে আমাদের নাকমুখ চেপে ধরে চলতে হয়। চলার সুযোগও নেই। অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে রাস্তায় বেরোতে পারিনা। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে নাকাল হয়নি এরকম লোক উখিয়ায় একজনও খোঁজে পাবেন না।
কতোদিন, বাজারে গিয়ে তাজা মাছ পায় না, তরিতরকারি পায়না, আমরা বাজারে পৌছার আগেই তা চড়া দামে রোহিঙ্গারা কিনে নিয়ে যায়।
আমাদের প্রতিটি দিন কাটছে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে।
আপনি কি জানেন, আমরা উখিয়াবাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছে একপ্রকার জিম্মিদশার মধ্যে আছি? প্রতিনিয়ত তাদের ভয়ে তটস্থ থাকি? তাদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ভয়ে গা রক্ষা করে চলি! তাদের কারণেই আমরা মারাত্মক সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংকটে?
শুধু কি তাই, আমাদের রাতবিরেত কাটে তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানির ভয়ে!! আমাদের ধানি জমি, খেতখামার পাহাড় সব আপনার নির্দেশে তাদের দিয়ে দিয়েছি, তা তারা ভালমতোই ভোগ করছে।
আমরা সব সয়ে যাচ্ছি। টুঁশব্দ করিনি। এতো ঝুঁকির মাঝে গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি আমরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশীদের অবাধ যাতায়াত। এ কারণে জেলার অন্যান্য এলাকার চেয়ে ঝুঁকিটা আমাদেরই বেশী। এরমধ্যে শুনলাম, আপনি কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার জন্য উখিয়াকে বেছে নিয়েছেন!!
বাহ্ ডিসি সাহেব, বাহ্।
এই যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। ঝুঁকির উপর ঝুঁকি। গজবের উপর গজব।
আপনার এ ঘোষণার পর থেকে বৃহত্তর ইনানীর মানুষ ক্ষুব্ধ, হতাশ। আতংকিত, উৎকণ্ঠিত। বলা যায়, প্রত্যেকের হার্টবিট বেড়ে গেছে। প্লিজ, আমাদের প্রতি সদয় হোন, দয়া করে আমাদের রেহাই দিন।।
রাসেল চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক- কক্সবাজার জার্নাল ডটকম
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-