নিজস্ব প্রতিবেদক ◑
কক্সবাজার শহরবাসীর মধ্যে ভর করেছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মধ্যেই গত কয়েকদিন ধরে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিন্তে বাজারগুলোতে ভীড় করছেন তাঁরা। যার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
যে কোন সময় শহর লক ডাউনের নির্দেশ আসতে পারে। প্রতিটি ঘর পরিণত হতে পারে হোম কোয়ারেন্টাইনে। ফলে ইচ্ছে করলেও কেউ ঘর থেকে বাইরে যেতে পারবেন না।
এই ভয়ে শহরের লোকজন এখন বাজারমুখী।
গত কয়েকদিন ধরে শহরের বাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়ছে। বাজারে গিয়েই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করছেন না তাঁরা। এমনকি দরদাম পরখ করার মতো সময়ও ব্যয় করছেন না। দ্রুত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনে ফিরে আসছেন বাড়িতে। যদিও প্রত্যেক পণ্যেই তাঁদের অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে শহরের বড় বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো বাজারেই মানুষের উপচেপড়া ভীড়। সবাই চাল, ডাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে ব্যস্ত। করোনা ভাইরাসে একজন থেকে অন্যজনকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বাজারে সেই নির্দেশনার কোন প্রতিফলন নেই। রীতিমতো একজনের গায়ের উপর অন্য জন উঠেই কিন্ছেন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
যার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। চাল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস এমনকি সবজির দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও গতকাল ৩০ টাকা বেশি দরে বাজারে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। পাশাপাশি কোন কারণ ছাড়াই খোলা বাজারে সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৭ টাকা। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
কাঁচা মরিচ, টমেটো, গাজর, চিচিঙ্গা, পেঁপে সহ প্রায় সব ধরনের সবজি কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামি বিক্রি করা হচ্ছে। আদা, রসুনের মতো মসলার দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকার উপর।
মাংসের বাজারের অবস্থাও একই। গতকাল মুরগির বাজারে প্রতি কেজি পোল্ট্রি বিক্রি করা হয় ১৩০ টাকায়। দেশি মুরগির দাম ছিলো ৪০০ টাকা। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি করা হয় ৬০০ টাকায়।
এদিকে, বাজারের এমন পরিস্থিতিতেই গতকাল ১৯ মার্চ বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার পরিদর্শন করেছে। এ সময় বেশি দামে পণ্য বিক্রি না করতে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। যদিও ভ্রাম্যমাণ আদালতের সেই সতর্কতায় কান দেয়নি অসাধু ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়িয়েই বিক্রি করেছে পণ্য।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-