বিদেশফেরত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা সকলকে কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে

ইমাম খাইর ◑
বিদেশফেরত ব্যক্তিসহ তার সংস্পর্শে আসা সকলকে কোয়ারান্টাইন থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নির্ধারিত কোয়ারান্টাইন অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় প্রশাসক এসব কথা বলেন। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে বিদেশফেরত ব্যক্তিসহ তার সংস্পর্শে আসা সকলের যথাযথ কোয়ারান্টাইন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার এবং সর্বোপরি সকল ধরণের গণজমায়েত নিষিদ্ধকরণ নিশ্চিতের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার -৩(সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

এছাড়া পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বক্তব্য রাখেন।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে গত বুধবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ের পর্যটকদের অপসারণ করে জেলা প্রশাসন। ওইদিন থেকে লোকসমাগমে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেন। এরপর সব ধরণের সভা-সমাবেশ, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভা ডেকে পুনরায় এ ঘোষণা দেন।
এরপর থেকে পর্যটন স্পট ও সৈকত জনশূণ্য হয়ে যায়।

বন্ধ হয়ে গেছে সেন্টমার্টিনগামী সকল পর্যটকবাহী জাহাজ। আবাসিক হোটেল, রেস্ট্যুরেন্ট, ক্যাফেসহ খাবার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে কোনো ঘোষণা না এলেও কলাতলীর তারকা হোটেল ও আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মজীবীদের সিংহভাগ ছুটিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

চকরিয়া থেকে বিভিন্ন সড়কে পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পর্যটক ঠেকাতে চালানো হচ্ছে যানবাহনে তল্লাশি। সচেতনতা বাড়াতে গ্রাম মহল্লায় প্রচারণা চলছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর করোনা থেকে মুক্তি পেতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়।

আরও খবর