যাত্রী সংখ্যা কমে অর্ধেক

করোনা আতঙ্কে টালমাটাল কক্সবাজার বিমান পরিবহণ ব্যবসা

ফাইল ছবি

সিবি ◑

করোনা আতঙ্কে টালমাটাল অবস্থা কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা। দিন দিন কমে আসছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকের আগমন।আর এর জেরে এবার বিপাকে পড়ছে বিমান পরিবহণ ব্যবসায়ও ৷ এমনটা চললে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী কয়েকটি বিমান সংস্থা। তেমনটা হলে বেশ কয়েকটি সংস্থা মে মাসের মধ্যে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ৷

১৭ মার্চ নভো এয়ারের এক কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দুইটি বিমান সংস্থার ৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। তিনি জানান,প্রতিদিন আমরা কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ৬টি ফ্লাইট চালু রাখলেও মঙ্গলবার চালু ছিল ৪টি।তাও আবার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে।মঙ্গলবার নভো এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকায় যাত্রা করে মাত্র ৬২ জন যাত্রী নিয়ে।আর বেলা ২টার ফ্লাইটটি বাতিল করতে বাধ্য হয় মাত্র ১২জন যাত্রী থাকায়।

তিনি আরও জানান, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতি প্লাইটে সবকিছু মিলিয়ে তাদের খরচ পড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা।আর একটি বিমান যদি ১২জন যাত্রী বহন করে তাতে তাদের লোকসান হতো প্রায় ৪ লাখ টাকা।

করোনা পাদুর্ভাবের আগে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতি ফ্লাইটে যাত্রী পরিপূর্ণ থাকলেও এখন ৪০ শতাংশের বেশি যাত্র পাওয়া যাচ্ছে না।মুলত করোনা আতংকে মানুষ ভ্রমনে যাচ্ছেনা।এ অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিক ক্ষতির আশংকায় বিমান সংস্থাগুলো সাময়িক ভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাটতে পারে।এ জন্য তারাও আতংকের মধ্যে রয়েছেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশের একটি, নভোএয়ারের ৬টি ও ইউএস-বাংলার ৫টি ফ্লাইট চলাচল করছে। এর মধ্যে করোনার কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় নভোএয়ার ২টি এবং ইউএস-বাংলা ১টি ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে।

আরও খবর