হিজলীয়ার মোকতার সিএনজি চালক থেকে কোটিপতি

ডেস্ক রিপোর্ট ◑

উখিয়ার হিজোলীয়ার এলাকার সিএনজি চালক মোকতার সময়ের ব্যবধানে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে আজ কোটিপতি। সে কোটিপতি হওয়ার পর থেকে উপক’লীয় অঞ্চলের ইয়াবা পাচারের সাগর ও সড়ক পথের ট্রানজিট পয়েন্ট সিএনজি মোকতারের দখলে বলে জানা যায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজোলীয় গ্রামের আলী আহম্মদের পুত্র মোকতার আহম্মদ প্রকাশ ইয়াবা মোকতার আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে পরিবারের হাল ধরতে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য উখিয়া ও কোটবাজার সদর ষ্টেশনে ভাড়ায় সিএনজি চালিয়ে পরিবারের বরণ পোষন চালিয়ে আসাত। হঠাৎ অল্প দিনে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভুর হয়ে এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মিলিয়ে নেমে পড়েন মাদক ব্যবসায়। চিহ্নিত করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট। পরে একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট তৈরি করে মিয়ানমার ভিত্তিক শীর্ষ ইয়াবাকারবারী চিকুইন্না ও সীমান্তের ইয়াবা ডনদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে উপক’লীয় অঞ্চলের সাগর ও সড়ক পথ দিয়ে নির্ভিঘেœ লাখ লাখ পিশ ইয়াবা পাচার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়ে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন।

সম্প্রতি অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে ইয়াবার বৃহত্তর চালান নিয়ে কোটবাজার ষ্টেশন থেকে ইয়াবা হাত বদলের সময় উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ মোকতারকে আটক করে মাদক দ্রব্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, মোকতার কোটিপতি হওয়ার পর থেকে তার অবৈধ ব্যবসা বা ইয়াবা পাচারের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। তার ইয়াবা পাচারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুুুললেই তার উপর নেমে আসে চরম অত্যাচার ও নির্যাতন। তার অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এলাকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ জিম্মি দষায় জীবন যাপন করছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, অচিরেই ইয়াবা মোকতারকে গ্রেপ্তারপূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে এলাকার উঠতি বয়সী ছাত্র ও যুবসমাজকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করেন। তাই তাকে গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মর্জিয়া আক্তার মরজু বলেন, তদন্তপূর্বক মোকতারকে গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে এসে এলাকার শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি জানান। সূত্র-উখিয়া ক্রাইম নিউজ

আরও খবর