আত্মস্বীকৃত ৯৭ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

ইমাম খাইর ◑


আত্মস্বীকৃত ৯৭ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এসটি মামলা নং-৩৫৪/২০ শুনানি শেষে চার্জ সংগঠন করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

এই মামলার ১০২ জন আসামির মধ্যে চার জন অসুস্থতাজনিত কারণে উপস্থিত হন নি। তারা কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাসেল নামের আরেক আসামি মারা যান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
আসামিপক্ষে ছিলেন -এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, এডভোকেট মোঃ মহিউদ্দিন।

পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৮ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১), ১০(গ) ৪০/৪১ অনুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

একই আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনে আরেক মামলা (এসপিটি মামলা নং -৭৩/২০) আগামী একমাস পরে শুনানি শেষে চার্জ গঠন করা হবে।

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে।

অনুষ্ঠানে তারা সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি দেশে তৈরি বন্দুক এবং ৭০টি গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথে স্বাগত জানানো হয়।

১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। তারা হলেন- সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুণ্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন, বড় হাবিব পাড়ার ছিদ্দিক, পুরনো পল্লানপাড়ার শাহ আলম, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল বাবু, মৌলভী পাড়ার একরাম হোসেন, মধ্যম ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং ওরফে মমচি ও দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার জুবাইর হোসেন, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, ডেইল পাড়ার আবদুল আমিন, নাজির পাড়ার এনামুল হক মেম্বার, ভুট্টোর ভাগিনা আফসার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মো. রফিক, মো. হেলাল, জামাল হোসেন, মৌলভী পাড়ার মো. আলী, নাইটং পাড়ার মো. ইউনুস, উত্তর লম্বরীর আবদুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর কচুবনিয়ার বদিউর রহমান, রাজার ছড়ার আবদুল কুদ্দুস, জাহালিয়া পাড়ার মো. সিরাজ, নতুন পল্লানপাড়ার মো. সেলিম, নাইট্যং পাড়ার মো. রহিম উল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, তুলাতলীর নুরুল বশর, হাতিয়ার ঘোনার দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাছন, রাজার ছড়ার হোসেন আলী, উত্তর জালিয়াপাড়ার নুরুল বশর মিজি, আবদুল গনি, জালিয়া পাড়ার মো. হাশেম, পুরান পল্লান পাড়ার ইসমাইল, নাইট্যংপাড়ার আইয়ুব, নুর হাবিব, মাঠপাড়ার কামাল, শিলবনিয়াপাড়ার আইয়ুব, জালিয়াপাড়ার আলম, নুরুল আলম, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরার নুরুল আলম, শামলাপুর জুমপাড়ার শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আলম, উত্তর শীলখালীর মো. আবু ছৈয়দ, হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, আলী খালীর জামাল মেম্বার, শাহ আজম, পশ্চিম সিকদারপাড়ার ছৈয়দ আহমদ, রশিদ আহমদ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবীর, পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম, জাদিমোরার মোহাম্মদ হাসান আবদুল্লাহ, লেদার ফরিদ আলম, মো. হোছন, জহুর আলম, আবু তাহের, বোরহান, হামিদ, রবিউল আলম, আলীখালীর হারুন, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মাহাবুব, বাজারপাড়ার মো. শাহ, পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, পশ্চিম পানখালীর নুরুল আবছার, ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, আলী নেওয়াজ, আবু তৈয়ব ও রমজান ও কক্সবাজারের শাহজাহান আনসারী।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন- বদির চার ভাইসহ আট স্বজন। ভাইদের মধ্যে রয়েছেন- আবদুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান, মো. ফয়সাল রহমান ও শফিকুল ইসলাম। এছাড়া বদির ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল, খালাতো ভাই মংমং সেন ও বেয়াই শাহেদ কামাল রয়েছেন।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে সাত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন- টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের জামাল হোসেন, নুরুল হুদা মেম্বার, সাবরাং ইউপির শামসুল আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন দানু, রেজাউল করিম রেজু, সদর ইউপি মেম্বার এনামুল হক, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে দিদার মিয়া।

আরও খবর