অনলাইন ডেস্ক ◑ ২০১৬ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে ২৮ লাখ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ রায় দেন।
একই রায়ে আদালত আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাস করে জেল দিয়েছেন। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সর্বোচ্চ সাজা এটি।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাতকানিয়ার ঢেমশা এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে আলী আহমদ (৫৬), পটিয়া (বর্তমানে কর্ণফুলী) শিকলবাহা এলাকার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. হামিদুল্লাহ (৩২) ও রাঙামাটি কাউখালী এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (৩৯)।
আদালত রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, মাদক মামলায় ৩ আসামিকে ১৫ বছর করে সাজা দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। আদালত আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাস করে জেল দিয়েছেন। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সর্বোচ্চ সাজা এটি।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আলী আহমদ ও হামিদুল্লাহকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। পরে আসামিদের দেওয়া তথ্যে আরও ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মহিউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-৭ কর্মকর্তা মো. মহসিন কবির বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। ৬ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে নয়জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
গ্রেফতারের পর থেকে আসামিরা কারাগারে ছিলেন বলে জানান পিপি ফখরুদ্দীন চৌধুরী।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-