বার্তা পরিবেশক ◑
উখিয়া উপজেলার প্রায় ধানক্ষেতে পেঁাকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
চলতি বোরো মৌসুমেও উপজেলায় কৃষকেরা ধান ক্ষেতে পেঁাকার আক্রমন থেকে রক্ষার্থে খঁুটি (পাচিং) স্থাপন করেছে। এই পদ্ধতি চালু করার ফলে ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে এসেছে। কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয়ও কমেছে।
এতে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায় চলতি বোরো মৌসুমে পুরো উপজেলা ৫ ইউনিয়নের প্রায় ছয় হাজার চারশত সত্তর হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। পার্চিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয়না।
লাইনে সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করে জমিতে গাছের খুঁটি পঁুতে দিতে হয়। পুঁতে দেওয়া খুঁটিতে এক শ্রেণির পাখি বসে ধান ক্ষেত থেকে অপকারী পেঁাকা খেয়ে ফেলে। যার কারণে পেঁাকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার হয়না। রন্তাপালং ইউনিয়নের ছাদৃকাটা গ্রামের কৃষক মোঃ আলমগীর জানান, তারা বাপ দাদার আমল থেকে মান্ধাতা আমলে চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করত। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিকট থেকে ধারনা নিয়ে গত বছর থেকে পাচিং কার্যক্রম করে আসছে।
উখিয়া উপজেলা নবাগত কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় জানান, প্রতি একর বোরো ক্ষেতে পেঁাকা দমনে প্রায় আড়াই হাজার টাকার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
সেক্ষেত্রে ঐ পরিমান চাষে অল্প টাকায় পঞ্চাশটি খঁুটি স্থাপন করে পেঁাকা দমন করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, স্থানীয় কৃষকদের মাঠ পযার্য়ে প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা, কীটনাশকের বিকল্প হিসাবে পার্চিং, সুষম সার ব্যবহার, লাইনে রোপন, এল.সি.সি ব্যবহার সহ আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এতে কৃষকেরা উৎসাহ পেয়ে চলতি বছর ছয় হাজার চারশত সত্তর হেক্টর জমিতে পাচিং পদ্ধতি বোরো চাষাবাদরে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে উপজেলার দশ হাজার কৃষক সূফল পাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম মহোদয় পার্চিং কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-