নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ◑
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুম্বার মাংস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংসগুলো অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের কথা থাকলেও তাদেরকে সামান্য বিতরণ করে বেশিরভাগ দুম্বার মাংস উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে বুধবার (১২ ফের্রুয়ারি) সকাল দশটায় বিতরণ করা দুম্বার মাংস প্রকৃত গরিব-দুস্থদের ঘরে পৌঁছেনি। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চকরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের হতদরিদ্র ও অসহায় দুস্থদের জন্য সৌদি আরব সরকার কতর্ৃক দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব দুম্বার মাংস থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের জন্য এক হাজার প্যাকেট দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল দশটায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব দুম্বার মাংস বিতরণ করা হয়। এরআগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুম্বার মাংস বিতরণের জন্য একটি তালিকা তৈরী করেন।
তালিকা অনুযায়ী উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১টি পৌরসভা, এতিমখানা ও আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলোতে মোট ৬০৩টি প্যাকেট বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ৩৯৭টি দুম্বার মাংসের প্যাকেটের সঠিক হিসেব মেলাতে পারছেন না। দুম্বার মাংস গরীব, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে সামান্য বিতরণ করা হলেও বেশির ভাগ নিজের লোকদের ঘরে পৌছে দিয়েছেন। এমনকি অনেক নেতা ও
জনপ্রতিনিধিদের ঘরেও দুম্বার মাংসের প্যাকেট পেঁৗছে গেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার অসহায় গরীব ও এতিমদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গরীব, এতিম ও দুস্থদের কাছে দুম্বার মাংস সরাসরি পৌছে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধি, অফিসার, অফিস সহায়করাই বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও অফিসের মধ্যে বণ্টন করেন। অন্যদিকে যাদের বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা এসব দুম্বার মাংস নিজেদের ঘরে নিয়ে গেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক কতর্ৃক এক হাজার প্যাকেট দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব দুম্বার মাংস উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, একটি পৌরসভা, এতিমখানা, আশ্রয়নকেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, অফিসিয়ালভাবে আমার সহকারিকে দায়িত্ব দিয়ে দুম্বার মাংসসমুহ বিতরণ করেছি। দুম্বার মাংস বিতরণের কোনো অনিয়মের বিষয়টি অবগত নন বলেও জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, দুম্বার মাংস বিতরণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে নিজেরাই বিতরণ করেছে। এক হাজার প্যাকেটের দুম্বার মাংসের প্যাকেট কোথায় কোথায় বিতরণ করা হয়েছে তা পিআইও’র সাথে কথা বলে জানানো হবে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুকছুদুল হক ছুট্টো বলেন, দুম্বার মাংস কি পরিমান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার সঠিক তথ্য আমি জানিনা। তবে এসব বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে আমি শুনেছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-