ঈদগাঁও প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের গহীন অরণ্য থেকে এক ব্যক্তির মাথার খুলি সহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ার পূর্বে গহীন অরণ্য থেকে এ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো উদ্ধার করা হয়। সে সময় ব্যবহারের শার্ট, লুঙ্গি, এক জোড়া স্যান্ডেল ও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও মাথার খুলি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ডিএনএ টেষ্ট ছাড়া তার পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না, অপরদিকে ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ী এলাকার ৪ মাস আগে নিখোঁজ এক শ্রমিকের বলে তার স্বজনরা শার্ট দেখে নিশ্চিত করলেও তা ধোঁয়াশা বলে জানান পুলিশ। ঐ নিখোঁজের ঘটনায় লামা থানায় সাধারণ ডায়রীও করা হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সকালে কাঠুরিয়া মারফত খবর পেয়ে এসআই আবু বকর ছিদ্দিক, এএসআই মহি উদ্দীনসহ একদল ফোর্স নিয়ে গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ সময় জঙ্গলের ভিতর থেকে একটি মাথার খুলি, হাটুর নিচ হতে গুড়ালি পর্যন্ত পায়ের নলা, মেরুদন্ডের দুই টুকরো হাড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়৷ এ রিপোর্ট তৈরি করা পর্যন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো পুলিশ হেফাজতে সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আরো জানান, ডিএনএ টেস্টের পর তার আসল পরিচয় শনাক্ত করা যাবে। এর আগে কোন স্বজন যদি তাদের আত্মীয় স্বজন বলে শনাক্ত করে তা ভুল হবে, যেহেতু লাশের কোন চিহ্ন নেই। ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাই বাড়ী এলাকার এক শ্রমিকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলে স্বজনরা নিশ্চিত করলেও তা ধোঁয়াশা বলে মনে হচ্ছে।
তবে পুলিশের সাথে যাওয়া নিখোঁজ ব্যক্তির বাবা উদ্ধার করা শার্ট দেখে জড়িয়ে ধরে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিল বলে জানান ইনচার্জ। ডিএনএ টেস্টের পর পরিচয় শনাক্ত করা যাবে এবং ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। পরিচয় শনাক্তের পর যদি স্বজনরা মামলা করে তখন অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ক্লু উদঘাটন করবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-