টেকনাফে র‍্যাবের গুলিতে শীর্ষ ডাকাত আমিন নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑

টেকনাফে র‍্যাবের সাথে ডাকাত দলের “বন্দুকযুদ্ধ” সংঘটিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় নুরুল আমিন নামে এক শীর্ষ ডাকাত নিহত ও র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে র‍্যাব জানতে পারে হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা নুরুলী পাড়া এলাকায় একদল ডাকাত অপরাধ সংঘটিত করার জন্য অবস্থান নিয়েছে।

সেই তথ্য অনুযায়ী,১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ভোর রাত ৩ টার দিকে টেকনাফ র‍্যাব ১৫’ সদস্যদের একটি দল চলমান ডাকাত বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে। এতে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।

দুই পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাতকে পড়ে থাকতে দেখে র‍্যাব সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে এবং মৃতদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

নিহত ডাকাত হচ্ছে,লেদা নুরালী পাড়া এলাকার মৃত মকতুল হোসেনের পুত্র ডাকাত দলের প্রধান শীর্ষ ডাকাত নুরুল আমিন আমিন ডাকাত (৩০)।

এদিকে র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি থ্রী কোয়ার্টার গান,১টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি তাজা কার্তুজ,৩টি গুলির খালি খোসা,মিয়ানমারের তৈরী ১১টি এমপিটি সীম ও ১টি টেলিটক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত মাদক পাচার, খুন,অপহরনসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছেনা। তবে তাদের সেই সমস্ত অপরাধ দমন করতে র‍্যাব সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন ডাকাত দলের সদস্যদের নির্মুল করার জন্য র‍্যাবের চলমান অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।

আরও খবর