ইমাম খাইর, কক্সবাজার ◑
মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া (১৫) উখিয়ার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়তো। প্রায় ২ বছর ধরে স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ। স্কুলের হাজিরা খাতা কিংবা বালামেও সাদিয়ার নাম নেই। স্কুলের শিক্ষক, ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরাও ‘মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া’ নামে কাউকে চেনে না। এমনকি কথিত ভিটকিমের পিতা মো. আলম নিজেও স্বীকার করেছে, তার মেয়ে (মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া) গত এক বছর ধরে স্কুলে যাচ্ছে না। যার ‘ভয়েস রেকর্ড’ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু গত ৩ ফেব্রুয়ারী স্কুল থেকে ফেরার পথে নিজের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে পিতা মো. আলম।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-১৩/২০২০। এ মামলায় আসামী করা হয়েছে ৮ নং হলদিয়া পালং জনাব আলী পাড়ার ধুরুমখালীর নুর নবীর ছেলে আমানত উল্লাহ (২০)। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ এর আগে কথিত ভিকটিম মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া ও আসামী আমানত উল্লাহকে থানায় আটকে রাখা হয়। যা থানার সিসি ক্যামেরায় স্পষ্ট প্রমাণ মিলবে।
এ প্রসঙ্গে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মু. জামাল উদ্দিনের জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, সাবেক রুমখাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এসে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারী মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছিল। কিছু দিন ক্লাস করলেও সে স্কুলেই অনুপস্থিত। বালামেও তার নাম নেই।
তিনি বলেন, স্কুল থেকে যাওয়ার পথে অপহরণের সংবাদ শুনে স্কুলের সব ডকুমেন্টস ঘেটে দেখলাম, মনোয়ারা সিদ্দিকা সাদিয়া ২০১৮ সালের জানুয়ারীর পর থেকে আর স্কুলে আসে নি। এমন মিথ্যা সংবাদে স্কুলের ‘বদনাম’ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষক মু. জামাল উদ্দিন।
মামলার বাদি মো. আলমের কাছে ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, একটি ছেলে আমার মেয়ে সাদিয়াকে ডিস্টার্ব করায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে স্কুলে যাচ্ছে না। পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছে। জানতে চাওয়া হয়, ‘গত ৩ ফেব্রুয়ারী স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মামলার কারণ কি? জবাবে বলেন, এটি ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আবুল মনসুরের বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন, মেয়ের পিতার অভিযোগ নিয়েছি। তদন্ত করে ঘটনা হলে সত্য, মিথ্যা হলে মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-