এম.এস রানা উখিয়া ◑
মাঘের হিমেল বাতাসে দীঘির জল শুকায় বিল শুকায় শুকায়না ভালুকিয়ার সড়ক। উখিয়া কোটবাজারের জন গুরুত্বপুর্ন এই সড়কটি দিয়ে হাটতে গেলে মাথা নিচু করে হাটতে হয়। গাড়িতে চড়তে গেলে হাড় মাংস এক হয়ে যায়।
অসবধানতায় যদি কেউ পা বাড়ায় তাহলে পিচ্চিল খেয়ে কোমর ভাঙ্গা ঝুকিতো আছেই, তাছাড়াও ঐ সড়কের ময়লা যুক্ত পানি এসে গায়ে পড়লে গোসল ছাড়া নামাজ আদায় সম্ভব নয়। দোকানের নিচ দিয়ে বেয়ে আসা পানির শ্রুতধারা দেখে পানি মনে হলেও প্রকৃত ঝর্ণাধারার কোন পানি নয় এগুলো পার্শের মার্কেটের সেপটি ট্যাংক ও নর্দমা থেকে গড়িয়ে আসা মল মুত্রের নির্ঘিত রসের ভান্ডার।
তাছাড়াও পার্শ্ববর্তি কিছু হোটেল রেস্তোরার অবাঞ্চিত বর্জ ক্ষুদ্র নালা দিয়ে এসে ভরপুর যাওয়ার কারনে দর্গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে ষ্টেশনের সর্বত্র ।ফলে ভালুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ক্রেতাদের নাকে রুমাল দিয়ে বিকিকিনি করতে হয়। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে জনবহুল ষ্টেশন কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কে।
গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা নয়, সারা বছরই কাদা মাটি আর ময়লা পানিতে ডুবে থাকে এ ভালুকিয়া সড়ক। এ যেন ঐ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য বারো মাসি দুংখ্য। এক যুগের বেশী সময় ধরে চলে আসা চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কয়েক বার ব্যবসায়ীর সড়কে আমন ধানের চারা রোপন করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের দুষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেও কাংখিত কোন ফলাফল অদ্যবদি পাওয়া যায়নি ।
এছাড়াও স্থানীয় ও জাতিয় স্ংবাদ মাধ্যমে স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনী কতৃপক্ষের। তবে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রকোশলী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী নেতুত্বে সড়কটির উন্নয়নের লক্ষে পরিদর্শন করে গেলও তা আলোর মূখ দেখেনি এখনো।
ভলুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ইসকান্দর মির্জা সওদাগর , ফিরোজ আহমদ সওদাগর , শাহ আলম সওদাগর , বেলাল উদ্দিন সওদাগর , ও বাবুল সওদাগর সহ একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশে সরকার আসে সরকার যায়, উন্নয়নে দেশ ভরে যায়,দর্ভাগ্য ভালুকিয়া সড়কের চরম দুর্ভোগের একমাত্র কারণ ৫০ গজ রাস্তার কোন উন্নয়ন দেড় যুগেও হয়নি। তারা আরো বলেন সড়কের উত্তর পার্শের মার্কেট থেকে নালা, নর্দমা ও মল মুত্রের সেপটি ট্যা্ংক থেকে পানি এসে সড়কে একাকার হয়ে যাওয়াতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় মেম্বর মোকতার আহমদ ও আবদৃল গফুর মেম্বার বলেন, সড়কটি প্রয়োজনিয় উন্নয়নের লক্ষে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী যতাযত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সড়কটি এলজিআরডির আওতাভুক্ত হয়েও তারা সেদিকে কোন প্রকার সুদৃষ্টি না দেয়ার অচিরেই বাজার উন্নয়ন ফাউন্ড থেকে টেন্ডার আহবান করা মধ্যদিয়ে শীঘ্রই নালা নর্দমা তৈরী সহ ভাঙ্গা সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-