বিশেষ প্রতিবেদক ◑
উখিয়া -টেকনাফে মরননেশা ইয়াবার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে সরকার। টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদারদের অনেকে অাত্বসমর্পন করে জেলে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এসব ইয়াবা গডফাদাররা অাত্বসমর্পন করলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসা জমজমাট আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটছে। তবুও থেমে নেই ইয়াবা বানিজ্য। টেকনাফে শীর্ষ ইয়াবা গডফাদারদের বিভিন্ন সম্পদ ও বাড়িঘর প্রশাসন জব্দসহ গুড়িয়ে দিলেও উখিয়ার চিত্র তার বিপরীত।
টেকনাফের মতো না হলেও উখিয়ার শীর্ষ বেশ কয়েকজন ইয়াবা গডফাদার আটক হয়ে কারগারে রয়েছে আবার কেউ জামিনে বেরিয়েছে। এসব ইয়াবা গডফাদারদের মধ্যে রয়েছে পালংখালী ইউনিয়নের জয়নাল মেম্বার, নুরুল হক মেম্বার, বালুখালীর চৌকিদার জুনু, রাজাপালং জাদিমুরার কবির,রাজাপালং দুছড়ি গ্রামের আতা উল্লাহ, মির আহামদ, উখিয়া কলেজ সংলগ্ন টিএন্ডটি এলাকার খোকা, হিজলিয়ার বাবুলসহ অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেলে যায়। এদের কেউ এখনো কারাগারে। আবার কেউ কেউ জামিনে বেরিয়েছে। কিন্ত উখিয়ার শীর্ষ এসব গডফাদার আটক হলেও তাদের সম্পদ গুলো রয়ে গেছে অক্ষত। বিশেষ করে জাদিমুরার কবিরের বিলাশ বহুল বাড়ী ভাড়া দেওয়া হয়েছে একটি এনজিও সংস্থার কাছে। পাশাপাশি টিএন্ডটি এলাকার খোকা,দুছড়ির আতাউল্লা,মির আহামদ হিজলিয়ার বাবুল ও জুনু চৌকিদারের বাড়ী সহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ থেকে গেছে প্রশাসনের নাগালের বাইরে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা কিছু করতে পারিনা। টেকনাফে যেসব জিনিস জব্দ করা হয়েছে তা আদালতের নির্দেশনা অনুসারে হয়েছে।
এ বিষয়ে বিগত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন ,অপরাধীদের সম্পদ জব্দের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার, আদালতের নির্দেশনা মতো কাজ করে প্রশাসন। তবুও যারা অল্প সময়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে তাদের ব্যাপারে খতিয়ে দেখার জন্য দুদক ও আয়কর বিভাগে চিঠি প্রেরণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-