টেকনাফে ফের বেপরোয়া দুই সহোদর,অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

বিশেষ প্রতিবেদক:

টেকনাফ পল্লান পাড়ার দুই সহোদর সৈয়দ আলম ও জসিম ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।তাদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ টেকনাফবাসী এমনটায় খবর পাওয়া গেছে।

টেকনাফে মাদক ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায়ীদের খবর নতুন নই। মিয়ানমার থেকে নানা কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন রুট ব্যবহার করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই ইয়াবা কারবারিরা। বরং নতুন রুট তৈরি করে মাদক আনা হচ্ছে দেশে।

বর্তমান সরকারের চলমান মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স সফল করতে টেকনাফ কক্সবাজার জেলা পুলিশের অভিযান চলমান। এত কড়া নিরাপত্তার ভিতরেও থেমে নেই বড় বড় ইয়াবার চালান। ঠিক এমন কড়া নিরাপত্তার ভিতরে নির্বিঘ্নে ইয়াবা ব্যবসা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে পল্লান পাড়ার দুই সহোদর অভিযোগ রয়েছে।একাধিক মামলার আসামী এই সহোদর টেকনাফ এলাকায় ত্রাস সৃষ্ঠি করেছে। তৈরী করেছে একটি সংঘবদ্ধ দল।

সূত্রমতে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। নামে বেনামে রয়েছে প্রচুর অর্থ সম্পদ। দুই ভাইয়ের রয়েছে দুটি বিশাল বাড়ি যা দেখতে দূর থেকে রাজপ্রাসাদ মনে হয়।

তাদের চলমান ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করতে এলাকার সুশীল সমাজ প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি ধমকি দেন প্রতি মুহূর্তে। গত কয়েকমাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার এলাকায় সুশীল সমাজকে অস্ত্র মহড়া দিয়ে হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের সাঙ্গ পাঙ্গদের অস্ত্র মহড়ার কারনে এলাকায় মুখ খোলতে নারাজ অনেকে। তাদের সংঘবদ্ধ একটি দল সবসময় মোটরসাইকেল ও অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করে তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলেনা।

এদিকে, টেকনাফের সচেতন মহলের দাবী। বর্তমান সরকারের চলমান মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স সফল করতে একটি আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পন হয়ে গেছে। সামনে ২য় দফা আত্মসমর্পনের আয়োজন চলছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যের ব্যাপার ২য় দফা তালিকায় এই বেপরোয়া দুই সহোদরের নাম নেই। ২য় দফায়ও তাদের নাম তালিকায় না থাকা এই নিয়ে চলছে টেকনাফ জুড়ে নানা গুঞ্জন।তাদের শিঘ্রী আইনের আওতায় এনে টেকনাফ কে কলঙ্কমুক্ত করা হউক বলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন মহল।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, গত ১৫ মে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪৭ হাজার ৮২৪ জন। এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, অভিযানকালে ২৪২ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২১১ জন। গ্রেফতার হওয়ার আগে ১২ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেফতারের পর লাশ উদ্ধার হয় ১৫ জনের। গ্রেফতারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১ জন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, ও গ্রেফতারের পর আত্মহত্যা করেছে ২ জন। এই যায়গাতে প্রশ্ন রয়ে যায়, এত কিছুর পরেও থামানো যাচ্ছেনা ইয়াবা। থামছেনা ইয়াবা কারবারীরা। আইন প্রয়োগকারীদের আরো কঠোর হয়ে মাঠে নামতে হবে বলে মনে করেন অনেকে।

আরও খবর