পেকুয়া প্রতিনিধি ◑ কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজের ৪দিন পর ভোলাখালে ফাতানো বিহিন্দি জালে মিলল কিশোর ছাঈদুল ইসলাম (১৬) এর অর্ধ গলিত লাশ। মগনামা কাটাফাঁড়ি ভোলাখালে ফাতানো জালে আটক পড়ে লাশ। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
এ সময় পুলিশ নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, ইউপি সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খবর পেয়ে লাশ দেখতে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ নদীর চরে ভিড় জমায়। সাঈদুল হক মগনামা বাজার পাড়া এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
বৃহষ্পতিবার (১৬জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মগনামা লায়ন মুজিবুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন ভোলাখালে লেদুর ফাতানো বিহিন্দি জালে ওই লাশ পাওয়া যায়।
নিহত ছাঈদুল ইসলামের মা তসলিমা বেগম জানায়,গত ১২ জানুয়ারী রাতে নিখোঁজ ছাঈদুল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। চার দিন পরে নদীতে আমার ছেলের গলিত লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ছাঈদুল ইসলাম মামার বাড়িতে কামলার কাজ করে। কয়েকদিন আগে সে নিখোঁজ হয়।
ভোলাখালের নদীতে তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় গামছা (শীতের কাপড়) পেচানো ছিল। ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক দ্বন্ধে তাকে খুন করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
মগনামা ইউপির সদস্য ও নিহত ছাঈদুল ইসলামের মামা মাহমুদুল করিম মাদু জানায়, চারদিন আগে আমার ভাগিনা নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে নিহতের মা পেকুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করে। বিকেলে খালে লাশ পাওয়া গেছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানায়, খবর পেয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ প্রায় অর্ধ গলিত। গলায় গিট মারা মাপলার রয়েছে।
আপাতত কিছু বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-