কক্সবাজারের প্রধান সড়ক নির্মাণে সময় লাগবে ২ বছর

শহীদুল্লাহ কায়সার ◑ সড়কের মেরামত তথা সংস্কার নয়। সম্পূর্ণ নতুন করেই নির্মাণ করা হবে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক। প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ করতে সময়ের প্রয়োজন হবে ২ বছর। সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া থেকে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত ব্যয় হবে এই সময়। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)’র পরিকল্পনায় এই সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। আগামি কয়েকমাসের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে।

এই বিষয়ে কউক চেয়ারম্যান লে.কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেছেন, একাধিক জনাকীর্ণ স্থানে ২ বছর শহরবাসীকে কষ্ট স্বীকার করতে হবে। শহরের হলিডে মোড় থেকে লারপাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। হলিডে মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কালভার্ট পর্যন্ত সড়কের প্রস্থ হবে ৫০ ফুট। বাকি অংশে সড়কের প্রস্থ হবে ১০০ ফুট। সড়ক নির্মাণের জন্য নতুন করে কোন জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। সড়কের উভয় পাশের্^ সওজ’র নামে জমি অধিগ্রহণ করা রয়েছে। সেই জমিতেই সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সড়ক নির্মাণের প্রসঙ্গ উঠলেই যে বিষয়টি প্রথমে আসে সেটি এর আকার। বিশেষ করে কউক প্রস্তাবিত সড়কে বর্তমানে শতাধিক ভবন রয়েছে। সেগুলো রেখে কীভাবে সড়ক নির্মাণ সম্ভব ? এবং এসব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হলেও মালিকদের কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। অথবা সড়ক নির্মাণের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে কিনা?

ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে কউক চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, সওজ’র জমিতে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো অবৈধ। এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নির্মাণ কাজ শুরুর এক সপ্তাহ আগে নোটিশ দেবে কউক। এতে কাজ না হলে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। গুঁড়িয়ে দেয়ার ব্যয়ভার বহন করতে হবে ভবন মালিকদের।

এদিকে কউক’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুই মাস পরেই প্রধান সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। শহরের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকায় এই সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২’শ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যে সড়ক নির্মাণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ। এরপর ধাপে ধাপে টেন্ডার আহবান, যাচাই পরবর্তী কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। এর আগে কয়েকদফা সড়ক সংস্কার কাজ চালানো হবে। যাতে বর্তমান সড়ক চলাচল উপযোগী থাকবে।
পুরো সড়ক নির্মাণ কাজ এক সঙ্গে শুরু করা হবে না। প্রথমে অর্ধেক অংশে সড়ক নির্মাণ করা হবে। সেই সড়ক খুলে দেয়া হবে যানবাহন চলাচলের জন্য। এরপরই বাকি অর্ধেক অংশে নির্মাণ করা হবে সড়ক। পাশাপাশি নির্মাণের আগে সরিয়ে ফেলা হবে সড়কের উপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই বিষয়ে কউক’র সাথে পিডিবি’র আলাপ শুরু হয়েছে। পিডিবি’র খুঁটি সরালেও এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে কউককে।

আরও খবর