নতুন বছরের আজব সব তথ্য

নতুন বছর মানেই নিত্য-নতুন স্বপ্ন, নতুন ক্লাস, নতুন বন্ধু, নতুন বই পাওয়ার আনন্দ। নতুন বছর ঘিরে পৃথিবী জুড়ে কত যে আয়োজন চলে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে সারা বিশ্বে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হয়। আতশবাজিতে ছেয়ে যায় সারা আকাশ। যেন আকাশ জুড়ে আলোর মেলা। কচি-কাঁচার আসরের পক্ষ থেকে এবার নতুন বছর নিয়ে দারুণ সব তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন তোমাদের বন্ধু—জাজাফী

বিশ্বের সব দেশে ১২ মাসে বছর হলেও একমাত্র ইথিওপিয়ায় ১৩ মাসে বছর। সে দেশে বছর শুরু হয় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে!

কোরিয়াতে জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুকে এক বছর বয়সী ধরা হয়। সুতরাং তুমি যদি ৩০ ডিসেম্বরেও জন্ম নাও, তাহলে পরের বছরের ১ জানুয়ারিতে তুমি দুই বছর বয়সী হিসেবে গণ্য হবে।
প্রাচীনকালে হাওয়াইয়ান নতুন বছরের উত্সব চলত চার মাসব্যাপী। সেই সময়ে সব ধরনের যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নববর্ষ উদ্যাপনের এই চার মাসে মানুষ কাজ করা বন্ধ করে দিয়ে নাচ, গান আর অন্যান্য আমোদে মেতে থাকত।
১৭৫৩ সালের আগ পর্যন্ত ব্রিটেনে নিউ ইয়ার উদ্যাপন করা হতো ২৫ মার্চ।
প্রতি বছর রাশিয়াতে দুইবার নববর্ষ পালন করা হয়। প্রথমবার ১ জানুয়ারি আর দ্বিতীয়বার ১৪ জানুয়ারি।
জাপানের আকিতা শহরে নতুন বছর উদ্যাপনে দারুণ একটা কাজ করা হয়। সেখানে ছেলেরা পাহাড়ের দানব সেজে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভীষণ ভয় দেখায়। কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কথা শোনে না আর খুব অলসেমি করে।
ফরাসি বিপ্লবের পর ওরা ছোট্ট পরিসরে একটি ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করেছিল, যেখানে ১০ দিনে এক সপ্তাহ, ১০ ঘণ্টায় এক দিন, ১০০ মিনিটে এক ঘণ্টা এবং ১০০ সেকেন্ডে এক মিনিট ধরা হয়েছিল। এভাবে তারা এক বছর পার করেছিল!
ডেনমার্কের মানুষ নিউ ইয়ার উদ্যাপনের দিন অন্যের ঘরের দরজার সামনে খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা করে। তারা মনে করে, যার দরজায় যত বেশি খাবার পড়বে সে তত বেশি নতুন বন্ধু পাবে। আমাদের দেশে এটা করতে যেয়ো না কিন্তু, তাহলে বুঝতেই তো পারছ কী হবে।
জাপানিরা নিউ ইয়ার উদ্যাপনের দিন লম্বা আকারের নুডলস খায়। তারা মনে করে, এতে তাদের আয়ু লম্বা হবে।

নতুন বছরে মানুষের সব থেকে বেশি ইচ্ছা থাকে খারাপ অভ্যাসগুলো ছেড়ে দেওয়া, ওজন কমানো, স্বাস্থ্যবান থাকা এবং টাকা জমানো—যদিও বছর শেষে এর কোনোটাই হয় না।
চায়নাতে নিউ ইয়ার উত্সব উপলক্ষে ১৫ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের সরকারি ছুটি।

আরও খবর