উখিয়ায় আমন সংগ্রহে ৭শ’ কৃষকের মাঝে লটারী

রফিকুল ইসলাম ◑


চলতি অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহ অভিযানে উপকারভোগী নির্বাচনে লটারীর আশ্রয় নিতে হয়েছে। সরকারের চাহিদা পত্রের  তুলনায় কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্রয় কমিটিকে এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে  প্রায় ৭ শ কৃষকের মাঝে এ লটারী সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ সেলিম জানান, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকার  উখিয়ার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহ করতে ১হাজার ৩১ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেন। প্রাথমিক ভাবে কৃষি অফিস হতে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নের কৃষকদের তালিকা দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুপাতে কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ছোট,মাঝারি ও বড় কৃষক চিহ্নিত করা হয়। এরপরও কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় উপজেলা খাদ্য শষ্য ক্রয় কমিটি সরকারের অভ্যন্তরীন আমন ধান সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী এ লটারীর আয়োজন করা হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদত্ত তালিকা থেকে প্রকৃত কৃষক যাদের বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ রয়েছে তাদের বাছাই করতে এ লটারীর ব্যবস্হা করা হয়েছে। উখিয়ার ৫ ইউনিয়ন থেকে ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩ ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ হতে ধান নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দই ইউনিয়নে ৪ শ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে।

অন্য ২ ইউনিয়নে কৃষক সংখ্যা বেশি হওয়ায় লটারীর মাধ্যমে কৃষক বাছাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক বরাদ্দে রাজাপালং ইউনিয়নে ৩ শ মেট্রিক টনের অনুকূলে ধান বিক্রি করতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন ৫৯৫ জন কৃষক।

পালংখালী ইউনিয়নে ১ শ মেট্রিক টন বরাদ্দের অনুকূলে তালিকাভুক্ত কৃষকের সংখ্যা ২০০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শত শত কৃষকের উপস্থিতিতে রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নে কৃষকদের লটারীর মাধ্যমে বাছাই করা হয়েছে বলে উপজেলা খাদ্য শষ্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও জানান।

উখিয়া এলএসডির  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজিত বিহারী সেন জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্হানীয় কৃষকদের নিকট থেকে ১ হাজার ৩১ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। তবে কৃষকের কৃষি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা সংগ্রহ কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত তালিকাভূক্ত কৃষকেরা ধান বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন। বৃহস্পতিবার কৃষক বাছাই লটারী পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  খাদ্য নিয়ন্ত্রক সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান রুবেল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু মাসুদ সিদ্দিকী সহ অভ্যন্তরীন খাদ্য শষ্য ক্রয় কমিটির সদস্যরা।

আরও খবর