চ্যানেল২৪ : কক্সবাজার ঝিলংজা মৌজার সমুদ্র সৈকতে লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত এলাকায় হোটেল মোটেলসহ অবৈধ সব স্থাপনা গুড়িয়ে দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। এক রায়ে আদালত বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সমুদ্র তীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সরকারকে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ দেশী বিদেশী পর্যটক। এই সমুদ্র সৈকতের ঝিলংজা মৌঝায় গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি থ্রি স্টার ও ফাইভ স্টার মানের হোটেল। রয়েছে আরও অসংখ্য ছোটবড় হোটেল মোটেল। ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সেই গেজেটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই এলাকায় গড়ে তোলা হয় একের পর এক স্থাপনা।
এই নিয়ে ৫টি রিটের চূড়ান্ত রিভিউয়ের রায়ে ১৯৯৯ সালের পর নেয়া হোটেল সাইমন, সি গালসহ বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে গুড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে এসব স্থাপনা।
সেই সাথে নতুন করে কাউকে সমুদ্র তীরে লিজ না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, এ রায় একটি মাইলফলক, অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে এ রায় অসেন্তাষ প্রকাশ করে হোটেল মালিকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলছেন, এতে পর্যটক কমে যাবে কক্সবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের পর্যটন।
এ রায় মানা না হলে, সরকার আদালত অবমাননার মামলা করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-