মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
শনিবার রাতে কক্সবাজারের দরিয়ানগর বড়ছড়া এলাকায় দু:স্থ ও অসহায় শীতার্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে ফিরছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

পথিমধ্যে কলাতলী ডলফিন চত্বরে অসহায় ভাসমান শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে গাড়ি থেকে নামলেন তিনি। দেখলেন, প্রায় ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাস্তার পাশে শোয়া অবস্থায় আছেন। চিকিৎসার জন্য তার মেয়ে রাস্তার পাশে অসুস্থ বৃদ্ধাকে শুইয়ে রেখে পথচারীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইছেন।

হাসপাতালে নেওয়ার মত প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের নেই বলে এভাবেই চিকিৎসার ব্যয়ভার যোগাড় করছে বলে জানালেন তারা। ঠিক সেই মুহূর্তেই  হাজির হলেন  জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। তাৎক্ষনিক তিনি বৃদ্ধার শারিরীক অবস্থার খোজ-খবর নেন।পরবর্তীতে সবকিছু অবগত হয়ে জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি।

এরপর হাসপাতালে ভর্তির জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের তত্ত্ববধানে জেলা প্রশাসনের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন অসুস্থ বৃদ্ধাকে এবং তার চিকিৎসা ও ঔষধপত্রসহ যাবতীয় ব্যয়ভার জেলা প্রশাসন থেকে করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
কক্সবাজারে দৃশ্যমান অনেক কাজ বাস্তবায়নের মধ্যেদিয়ে শনিবার রাতে রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা ঈদগাঁহ ফকিরাপাড়া এলাকার অসুস্থ এই বৃদ্ধার চিকিৎসা সেবার সুযোগ করে দিয়ে মানবতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন এমটাই বলছেন কলাতলীবাসী।
বৃদ্ধার মেয়ে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আম্মা অসুস্থ।ইতিমধ্যে চিকিৎসা করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে।  এখন হাসপাতালে নেওয়ার মত আর টাকা নেই। তাই মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে পথিমধ্যে এভাবে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে জেলা প্রশাসক মহোদয় এসে তার আম্মাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান।

মেয়েটি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আমরা ঋণী হয়ে রইলাম। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। তাঁর এমন মানবতায় জন্য আমরা মুগ্ধ হয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি যেটা করেছি সেটা আমার দায়িত্ব ছিল। বিপদে থাকা অসহায় মানুষদের পাশে সব সময় আমাদের থাকা উচিত।

আরও খবর