মোশাররফের মরদেহ ৭২ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ আদালতের

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগেই যদি তার মৃত্যু হয় তবে সে মরদেহ পার্লামেন্টের সামনে তিন দিন ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়ার দুই দিন পরেই বৃহস্পতিবার আদালত ১৬৯ পৃষ্ঠার পুরো রায়ের বিস্তারিত প্রকাশ করেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে।

পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমাদ শেঠ নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বিশেষ আদালত ৭৬ বছর বয়সী এই সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। খবর- ইন্ডিয়া টুডে

১৬৯ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে, মোশাররফকে গ্রেফতারের জন্য আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোকে সব ধরনের চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আসামিকে দেয়া সাজা কার্যকরের আগেই যদি তার মৃত্যু হয় তাহলে তার মরদেহ ইসলামাবাদের ডি চকে পার্লামেন্টের সামনে তিন দিন ঝুলিয়ে রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ওই বছর মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। একই বছর ৫ এপ্রিল তার ওপর বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।

তবে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মোশাররফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। আদালতের রায়ের বিপক্ষে সামরিক বাহিনীর অবস্থান তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একজন সাবেক সেনাপ্রধান, জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছর দেশের সেবা করেছেন, দেশকে সুরক্ষা দিতে যুদ্ধে লড়েছেন, তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।’

২০১৬ সালের মার্চে তার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি। গত তিন বছর ধরে দেশটিতে চিকিৎসা চলছে তার। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, আমি কিছু মানুষের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমি পুরো রায় শুনিনি, তবে আমি আগে থেকেই জানতাম যে আমি ন্যায়বিচার পাবো না।

আরও খবর