মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঊষালগ্নে পাক হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে এ দেশের জ্ঞানী গুনী, মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করার মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূণ্য করতে করতে চেয়েছিলো। যাঁরাছিলো আমাদের চেতনার উৎস, সাহসের বাতিঘর। সাময়িক ভাবে পাক হানাদার বাহিনীর এ ষড়যন্ত্র সফল হলেও বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের এ ত্যাগ তিতিক্ষার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে নতুন প্রজম্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধের প্রতি আরো বেশী আগ্রহী করে তুলতে হবে।
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন এ কথা বলেন।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) শ্রাবস্তী রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, এডিএম মোহা. শাজাহান আলি, মুক্তিযুদ্ধকালীন জয়বাংলা বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার বায়তুশ শরফের মহাপরিচালক এ.এম সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-