ডেস্ক রিপোর্ট ◑ শনিবার সন্ধ্যায় ক্রেতাসেজে পুলিশ ইয়াবা কিনতে যান লালবানু’র (৫০) পান, বিড়ি, সিগারেটের দোকানে। প্রথমে লালবানু ওই ক্রেতাকে উত্তেজিত হয়ে সাফ জানিয়ে দেন- তার দোকানে কোনো ইয়াবা বিক্রি হয় না। এবং তিনি ওই কারবারও করেন না। একপর্যায়ে তাকে বেশি টাকার অফার দিলে লালবানু একটি মসলা দিয়ে সাজানো পান কাগজে মুড়িয়ে ওই ক্রেতার হাতে দেন আর বলেন, পানের মধ্যেই ইয়াবা রাখা আছে। ওই সুযোগেই পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা আক্কেলপুর থানার এসআই জুবায়ের হোসেন লালবানুকে গ্রেপ্তার করে। পরে লালবানুর শরীরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা আরো ১৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
লালবানুর স্বামী সামছুল আলমও মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে থানায় ২০১৮ সালে একটি মাদক মামলা রয়েছে। লালবানু জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসদরের পাঁতানী পাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রেলগেট এলাকায় পান, বিড়ি, সিগারেটের দোকান রয়েছে লালবানুর স্বামী সামছুল আলমের। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ওই দোকানে দোকানদারি করেন। তারা কৌশলে পান ও সিগারেটের মধ্যে ভরে জনসম্মুখেই ইয়াবা বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশও ফাঁদ পেতে থাকে তাদেরকে হাতেনাতে ধরতে। গত শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয় লালবানু তার দোকানে বসে পান ও সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে করে ইয়াবা বিক্রি করছে। এর পর পুলিশের একজন সদস্যকে ছদ্মবেশে ক্রেতা সাজিয়ে লালবানুর দোকানে পাঠানো হয় ইয়াবা কিনতে। এরপর জনসম্মুখেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, আমি চেষ্টা করছি এই উপজেলায় মাদক নির্মূল করতে। জনগণের সহযোগিতায় এরই মধ্যে বেশকিছু মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। লালবানু ও তার স্বামী দুজনেই মাদক কারবারি। তারা দোকানে বসে মাদক কারবার করত। শনিবারে লালবানুকে ১৭ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-