চকরিয়ায় যৌতুকের লোভে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ , স্বামী আটক

মোহাম্মদ উল্লাহ , চকরিয়া ◑

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৭ মাস বয়সী কন্যা শিশুর মা মেরিনা আক্তার (২২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে যৌতুক লোভী ঘাতক স্বামী মিজানুর রহমানের(২৫)। এমন অভিযোগ করেছে নিহতের চাচা মো. মনছুর আলম। রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ চারাইল্যাপাড়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধূর মেরিনার ৭ মাস বয়সী এক ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মিজানুর রহমান (২৫) কে জনগনের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশের কাছে সৌপার্দ করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই গৃহবধূ মেরিনার মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন সন্দেহ হলে থানায় খবর দিই। ঘাতক মিজানুর রহমান নিহত মেরিনা আক্তার (২২) স্বামী।

নিহতের মা দিল নূর বেগম বলেন, শনিবার আমার মেয়ে মেরিনা বাড়ি থেকে স্বামীসহ তার শ^শুর বাড়িতে যায়। রবিবার সকালে মোবাইল ফোনে জানায় মা আমাকে বাঁচান এবং না নিয়ে গিলে আমার শশুর বাড়ীর লোকজন আমাকে মেরে ফেলবে একথা বলার পর মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। এর এক ঘন্টা পর অন্যজনের মোবাইল থেকে ফোন করে বলে আপনার মেয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ে মেরিনার লাশ। নিহত মেরিনার মা বিলাপ করে বলেন মেয়ের জামাইকে যৌতুক বাবত অনেক টাকা দেওয়ার পরও আমার মেয়েকে বাচাঁতে পারলাম না।

তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে যৌতুক হিসেবে মেয়ে জামাইকে নগদ টাকা প্রদান করি। আমার মেয়ের মত যৌতুকের কারণে অল্প বয়েসে কাউকে যাতে মরতে না হয় । আমি প্রশাসনের কাছে হত্যার সুষ্ট বিচার চাই।

নিহত গৃহবধূর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা এসআই তুষ্ট লাল বিশ্বাস জানান, নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, থানার একজন এসআইকে গৃহবধূর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পর । ময়নাতদন্তে শেষে লাশ নিহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ফরেনন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা আসল রহস্য জানা যাবে।

আরও খবর