চট্টগ্রাম ◑ কক্সবাজার থেকে সংগ্রাম মজুমদার (২) নামে এক শিশুকে অপহরণ করেন কাজের বুয়া। অপহরণ করে শিশুটিকে নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম। পরে শিশুটির পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। অভিযোগ পেয়ে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) র্যাবের পক্ষ থেকে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করার বিষয়টি জানানো হয়।
আটক দুইজন হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ডেইল পাড়ার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মায়েশা বেগম (৩৫) ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দ আহম্মদের ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ (২৯)।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চান্দগাঁও এলাকার ইসমাঈল কলোনীতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, গত ২০ নভেম্বর কক্সবাজারের বাসা থেকে নিমাই মজুমদারের ২ বছর বয়সী শিশু সংগ্রাম মজমুদারকে অপহরণ করেন তাদের বাসার কাজের বুয়া মায়েশা বেগম। মায়েশা শিশুটিকে নিয়ে চট্টগ্রাম চলে আসেন। সালেহ আহম্মদের মাধ্যমে শিশুটিকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। একই সময়ে সালেহ আহমদ শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ২৭ নভেম্বর র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করেন নিমাই মজুমদার।
কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। চান্দগাঁও এলাকার ইসমাঈল কলোনীতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সালেহ আহম্মদ শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতে চেয়েছিলেন। মুক্তিপণ আদায় করতে পারলে শিশুটিকে ফিরিয়ে না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-