ইমাম খাইর ◑
পেঁয়াজ নয়, দুর্নীতিবাজরাই আমাদের কাঁদাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের গলায় রশি দিয়ে বাজারে টানতে হবে। কেন অনর্থক দাম বাড়াবে? সমাধান চাই।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক জনসচেতনতা মূলক সেমিনারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি, সেটা বড় কথা নয়। আমিও কিন্তু একজন ভোক্তা। সে হিসাবে বাজারের অবস্থা দেখে দুঃখ অনুভব করি।
বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সেজন্য কিছু কান্না শুনতে চাই। তবে, গরীবের নয়। অসাধু মজুতদার-ব্যবসায়ীদের কান্না শুনতে চাই।
সিরাজুল মোস্তফা বলেন, আমার দেশের চাষিরা লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। অথচ ভোক্তা পর্যায়ে প্যাকেটজাত লবণের কেজি ৪০ টাকা। এমন তো হবার কথা নয়।
তিনি দুঃখ করে বলেন, শুধু রাজনীতি করি বলে সত্য না বলে পারব না। আমাদের সবাইকে তো মরতে হবে। যারা বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে তারা ব্যর্থ হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা দায় এড়াতে পারে না।
কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? আক্ষেপ সিরাজুল মোস্তফার। তিনি বলেন, সবখানে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। আমরা একটু ঈমানদারের ভূমিকা রাখি। প্রতিবাদি হই। সব কিছু নিয়ন্ত্রিত থাকুক, আমরা চাই।
জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।
সেমিনারের শুরুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া মিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন ভোক্তা অধিকার কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক এএসএম মাসুম উদ দৌলা।
জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের যৌথ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন -অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আমিন আল পারভেজ, এনডিসি জয়নাল আবেদীন, সহকারি সিভিল সার্জন ডাক্তার মহিউদ্দিন মুহাম্মদ আলমগীর, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোহাম্মদ শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সৈকতের সম্পাদক মাহবুবর রহমান, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কক্সবাজার-এর সভাপতি ও দৈনিক রূপালী সৈকতের সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহজাহান।
এ সময় বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাধারণ ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মকর্তা ও ভোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-