উখিয়া ও টেকনাফে কালো গ্লাসের গাড়ির দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণের দাবী

রফিকুল ইসলাম ◑
কালো গ্লাসের প্রাইভেট গাড়ি গুলোই যত সমস্যার কারণ,সকলের আপত্তি ঐ সব গাড়ির প্রতি। এ ধরণের গাড়িতে করে রোহিঙ্গা নেতা,চাকরিরত তরুণ -তরুণীদের কক্সবাজার সহ সর্বত্র ঘুরাঘুরি,ইয়াবা পাচার ও নারী -শিশু পাচারের মত ঘটনার অভিযোগ স্হানীয়দের। এসব কালো গ্লাসযুক্ত গাড়ির গতিবিধি নিয়ে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন ফোরামে অনেক কথা উঠেছে, কিন্তু কাজ কিছুই হচ্ছে না।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা, দেশী -বিদেশী এনজিও গুলোর হয়ে অন্তত ৭/৮ শ’র মত বিভিন্ন ধরণের প্রাইভেট যানবাহন চলাচল করছে। তাদের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত ২/৩ শ জীপ,কার ও বিলাসী মাইক্রো বাস প্রতিনিয়ত কক্সবাজার থেকে উখিয়া ও টেকনাফ যাতায়াত করে থাকে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন এনজিওর এ ধরণের গাড়ীতে করে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে ইয়াবা সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল।

ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন এনজিও কর্মী। রোহিঙ্গা রোগী পরিবহনের সুযোগে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্সও পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। কয়েক মাস পূর্বে হিউম্যানি টেরা নামক একটি অননুমোদিত বিদেশী এনজিও গাড়ীতে নারী ও করে ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। ঐ সময় স্হানীয় লোকজন উখিয়া বাস স্টেশনে রোহিঙ্গা পাচারের বিষয়টা আঁচ করতে পেরে গাড়িটা আটকিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পরে উখিয়া থানা পুলিশ এসে উক্ত এনজিও গাড়ি থেকে ৩ জন রোহিঙ্গা নারী ও ২ জন পুরুষ আটক করে।ততক্ষণে গিড়িটি পালিয়ে যায়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,কালো গ্লাস যুক্ত গাড়ি গুলোতে করে যত অপরাধ সংগঠিত হয়।আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল কালো গ্লাসের গাড়ি গুলোর চলাচল গতিবিধির উপর নজর রাখতে।কিন্তু কোন ব্যবস্হা না নেয়ায় এসব গাড়িতে করে রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। স্হানীয় লোকজন এনজিও গুলোর প্রাইভেট গাড়ি থেকে কালো গ্লাসের পরিবর্তে স্বচ্ছ গ্লাস প্রতিস্হাপনের দাবি জানান।

আরও খবর