মাহাবুবুর রহমান :
কক্সবাজার জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৮২ টি নতুন বই আসছে। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ বই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌছেছে, আবার অনেক বই স্কুলেও পৌছে গেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ১ জানুয়ারী প্রত্যেক স্কুলে বই উৎসব শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদিকে সরকারি উদ্যেগে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য বই বিতরণকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জেলার শিক্ষাবিদরা।
কক্সবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,মাধ্যমিক স্তুরে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা ৩০ লাখ ৫ হাজার ২৫৪ টি। জেলায় মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২০৬ টি এবং মাদ্রাসা আছে ১৩৬ টি। এর মধ্যে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ৩ লাখ। ইতি মধ্যে ৮০% বই চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছালেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার শিক্ষাকে সার্বজনিন করার জন্য বহুমুখি প্রচেস্টা চালাচ্ছে।
ফলে এখন আর কোন স্কুল এমপিও ছাড়া নেই,প্রত্যেক শিক্ষকের বেতন দ্বিগুন হয়েছে, বেড়েছে অন্যান্য সুবিধা,ছাত্রদের এখন আগের মত ফি দিতে হয়না। অবকাঠামোগত সুবিধা বেড়েছে বহু গুন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকে চলতি বছর বইয়ের চাহিদা ১৫ লাখ ৮ হাজার ২২৮ টি। ছাত্র সংখ্যা ৩০ হাজার ৯৬৪ জন। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ বই এসে গেছে বাকি বই ডিসেম্বরের মধ্যে চলে আসবে। যথারীতি ১ জানুয়ারী প্রত্যেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই উৎসব পালন করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সফিউল আলম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ এখন অনেক উন্নত,সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় করণ হয়েছে,সব শিক্ষক সরকারি বেতন সহ সমস্ত সুবিধা পাচ্ছে, সম্পূর্ণ বিনামুল্যে বই থেকে শুরু করে সব কিছু পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের মত শিক্ষা বান্ধব সরকার আর হতে পারেনা।
এদিকে জেলার প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে সরকারি ভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বই বিতরণকে একটি ঐতিহাসিক বিষয় হিসাবে আখ্যা দিয়ে জেলার শিক্ষাবিদরা বলেন,বর্তমান সরকার খুবই শিক্ষা বান্ধব তাই এটা সম্ভব হয়েছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক অজিত দাশ বলেন,আমার জানা মতে খুব কম দেশ আছে যেখানে শিক্ষার্থীদের স¤পূর্র্ণ বিনামূল্যে সব বই দেওয়া হয়। এতে করে অনেক গরীব অসহায় শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে লেখাপড়ায় ভাল মনোনিবেশ করতে পারে। আমি মনে করি এটা বর্তমান সরকারের অনেক বড় সফলতা যা আগামী দিনে বাংলাদেশের স্বণির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হক বলেন,এক সাথে সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া এটা শুধু বর্তমান সরকারের সময়ে সম্ভব হয়েছে। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় ভাল করতে পারছে। এছাড়া শুধু নতুন বই নয় সরকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ বারী বলেন, কিছু বছর আগেও অনেক শিক্ষার্থীকে দেখতাম তাদের পরিচিত আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে গিয়ে বই চাইতো। আবার অনেকে পুরাতন বই অর্ধেক দামে কিনে পড়তো। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে সরকার। এখন ধনী গরীব সবার হাতে নতুন বই। এতে শিক্ষার্থীদের মনে একটি বিরাট প্রভাব পড়ে যা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-