১. এ্যাকাউন্ট ফিশিং
এই প্রক্রিয়ায় হ্যাকার আপনাকে বিভিন্নভাবে লিংক পাঠাবে। হতে পারে ফেসবুক ম্যাসেজে কিংবা আপনার ইমেইলে। অবিকল ফেসবুক থেকে আসা নোটিফিকেশনের মতোই লিংক আসে। ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না আসলে এসব ফেসবুকের না। একে বলা হয় ফিশার ওয়েব। অবিকল দেখতে একটি ওয়েবসাইটের মতো হলেও আসলে তা নয়। ফলে যদি ফেসবুক ভেবে লগ ইন করেন তাহলেই আইডি খোয়া যাবে আপনার।
২. ওয়েবসাইটের শেয়ার বাটন
কিছু ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে শেয়ার বাটন ক্লিক করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ছবি শেয়ার করতে সেখানে যে অপশন থাকে সেখানে ক্লিক করলেও অনেক সময় আপনার এ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে পারে।
৩. ফেইক বন্ধুত্ব
অনেক সময় দেখা যায় হ্যাকার ছদ্মবেশে আপনার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক গড়ে এরা। আপনার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। একপর্যায়ে আপনাকে ইনবক্সে লিংক পাঠায়। এসব লিংকে না বুঝে ক্লিক করলেই আপনার গোপন পাসওয়ার্ড এবং ইমেইল হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
৪. সাইবার ক্যাফেতে লগ ইন
অনেকে শুধু মোবাইলেই ফেসবুক চালাতে অভ্যস্ত। মাঝে মধ্যে কম্পিউটারে বসেন কেবল বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে। এসব ক্ষেত্রে যারা পাবলিক কম্পিউটার যেমন- সাইবার ক্যাফেতে যান, অনেক সময় তারা এ্যাকাউন্ট লগ আউট করতে ভুলে যান। অথবা অনেকেই লগ ইন করার সময়ে খেয়াল করেন না রিমেম্বার পাসওয়ার্ড দেয়া রয়েছে। এভাবে আপনার অজান্তে অন্য কেউ আপনার এ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করে হ্যাক করে নিতে পারে।
৫. ফেসবুক এ্যাপ
ফেসবুকে নানা এ্যাপ রয়েছে। এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় সাবধান থাকা উচিত। অনেকেই এসব এ্যাপকে নিজের ইমেল এ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ডসহ নানান তথ্য দিয়ে দেন। যা অনেক ক্ষেত্রেই এরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে বিক্রি করে। এভাবে ফেসবুক এ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের এ্যাকাউন্ট হারাতে পারেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-