নিজস্ব প্রতিবেদক •
উখিয়া উপজেলার ১নং জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আবুল কালাম মানবপাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মানবপাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে শ্লোগান তৈরি করেছেন “চলো যাই যুদ্ধে মানবপাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে” “ভোটের আমার দরকার নাই মানবপাচার ও মাদক মুক্ত সমাজ চাই”।
তিনি তার ভোটার এলাকাকে মানবপাচার ও মাদক মুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তার এলাকাকে মানবপাচার ও মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
উখিয়া উপজেলায় মানবপাচারের ট্রায়াংগেল হিসেবে খ্যাত ছিল জালিয়া পালং ইউনিয়ন। কেননা এই পাহাড়ি এলাকা ও সমুদ্রপথ কাছাকাছি হওয়ায় এই এলাকা থেকে খুব বেশী মানবপাচার ও মাদকের চালান যাওয়া আসার নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হত।এক সময় এই রুট দিয়ে খুব বেশী মানবপাচার ও মাদকের চালান আসত। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এখন শূন্যের কোঠায় চলে আসছে।
ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, মানবপাচার ও মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর নির্দেশনাগ আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যদিও কাজটি বেশ কঠিন, তবে আমার বিশ্বাস আমার এলাকার মানুষ আমার কাজে পূর্ন সহযোগিতা করবেন। আর আমার এলাকার অসৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলছি, সব ধরনের অসৎ ব্যবসা বন্ধ করে দাও, মাদক সেবনকারীদের বলব নিজেদের সংশোধন কর, না হলে যত শক্তিশালী হও রক্ষা পাবে না, আর যারা এখনো মানবপাচার, মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবিদের প্রশ্রয় দাও তাদের উদ্দেশ্যে বলব, নিজের লাভের জন্য এসবের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যাক্তিকে আশ্রয় দিও না, অন্যতায় আশ্রয় দাতারাও রক্ষা পাবে না, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলে এমন ব্যবস্থা করুন, যাতে কোন মানুষ মাদক ব্যবসার কথা চিন্তা করলে ভয়ে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়।
আমার ব্যাক্তিগত একটি ঘোষনা: যদি কোন ব্যক্তি মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার নাম গোপন রেখে আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার দেব। পরিশেষে সবার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আসুন সবাই মিলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করি।
গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামের নেতৃত্বে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা সহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় সাধারণ মানুষকে নিয়ে ডেইল পাড়া এলাকায় সোলাইমানের বাসায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে ৭জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশু কে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে সোনার পাড়ার একটি কটেজ শাহজাহানের কটেজ (লাইলার কটেজ নামে খ্যাত) রাখা বাকী ৪ রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। রাতের কোন এক সময়ে তাদের নৌকায় তুলে দেয়ার কথা ছিল। পরে পাচারে জড়িত সোলাইমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, মানবপাচারের মত ঘৃণ্য কাজ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরনের আপোষ নয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-