ডেস্ক রিপোর্ট • ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তৃণমূলে যেন পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মন্ত্রী-এমপিরা কার্যত দলের কর্তৃত্ব কুক্ষিগত করতে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে-শালক-বোন-ভাগ্নে-ভাগ্নি-চাচা-ভাজিতা-ফুফা-ফুফুসহ আত্মীয়স্বজনকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের দলের নেতৃত্ব থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। এমনও দেখা গেছে, একই উপজেলায় দল-অঙ্গসংগঠন মিলে একজনের পরিবারের ২৩ ব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রেখেছেন। ছোট-বড় মিলে অর্ধশত পদ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিলিবণ্টনের চিত্র রয়েছে। সারা দেশে প্রায় অভিন্ন চিত্র। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, দলের গঠনতন্ত্রে এ সংক্রান্ত কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় সে সুযোগ নিয়ে গণমানুষের আওয়ামী লীগকে নেতারা পরিবারের হাতে বন্দি করে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু ইনকিলাবকে বলেন, যারা কোনো দিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না আত্মীয়তার কারণে তারা দলের বড় পদ পাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দেয়া তথ্য মতে, সারা দেশেই পরিবারতন্ত্র, এমপি লীগ ও নির্দিষ্ট একজন নেতার বলয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চান দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে। সকল বলয় ও সিন্ডিকেট ভেঙে শুধু আওয়ামী লীগ ও নৌকার বলয় থাকবে। দল পরিবার বন্দি জেলাগুলোর ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, পাবনা, ভোলা, রাজশাহী, বরিশাল অন্যতম। উপজেলা পর্যায়ে একই চিত্র হওয়ায় দলীয় রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা এবং দুর্বল হয়ে পড়ছে সংগঠন। এমন অবস্থায় চলমান জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি গঠনে পরিবার বা আত্মীয়করণের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সংগঠনকে গণমানুষ ও সকল নেতাকর্মীর মূল্যায়ন করতে চায় দলের হাইকমান্ড।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, এবার কোনো ত্যাগী নেতা যেন কমিটিতে বঞ্চিত না হন এবং এমপি বা কোনো নেতার পারিবারিক আধিক্য যেন না থাকে, সে বিষয়ে ভারসাম্য রেখেই কমিটি গঠন করা হবে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাড. নুর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন ল²ীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার স্ত্রী লুবনা চৌধুরী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক; বোনের স্বামী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ রায়পুর উপজেলা থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি; ফুফাশ্বশুর হাজী ইসমাইল খোকন রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র। শ্যালক গোলাম আযম রায়পুর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও একই সঙ্গে ১০ নং রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আরেক শ্যালক শফিউল আজম চৌধুরী সুমন ১০ নং রায়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। ভাগ্নে হুমায়ুন কবির ৪নং চর রহিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নয়ন চৌধুরীর ভাই আদনান চৌধুরী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
ময়মনসিংহ জেলার চিত্র আরো ভয়াবহ। সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের একজন কান্ডারি। স্ত্রী নুরুন নাহার ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি; ভাই মোমতাজ উদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য; ভাতিজা ফাইজুর রাজ্জাক উষাণ শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আরেক ভাতিজা সরকার মো. সব্যসাচী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। মতিউর রহমানের চাচাতো ভাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম। আরেক ভাই সালাম সরকার একটি থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আসমা- মতিউর রহমানের নাতির বউ। মতিউরের ছেলে মোহিত-উর-রহমান শান্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ২০০৮ সালের আগে আওয়ামী লীগ করেননি। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ও তার পরিবারের লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে স্থান করে নেন। বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন রুকন ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। রতনের বড় ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, রতনের চাচা মাফিজ আলী উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর চাচা আবুল হোসেন আলম (মুন্সি) উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। চাচাতো ভাই নূরুজ্জামান মেম্বার জাতীয় শ্রমিক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি। আরেক চাচাতো ভাই সুবেল মিয়া ধর্মপাশা উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। সোহরাব হোসেন উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এমপি রতনের চাচাতো বোন জামাই আব্দুল খালেক মাস্টার নব্য আওয়ামী লীগার।
ভোলা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির উদাহরণ হতে পারে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহম্মেদ ভোলা-১ আসন এবং তার ভাতিজা আলী আজম মুকুল ভোলা-২ আসনের এমপি। ভাগিনা মনিরুজ্জামন মনির ভোলা পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগ সভাপতি; ভাগ্নি জামাই আহসান পাটওয়ারী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তোফায়েল আহমেদের ছেলে মাইনুল হোসেন বিপ্লব জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, এনামুল হক আরজু জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শ্যালক (মরহুম) শাহজাহান সেন্টু জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন, ভাগ্নে শফিকুল ইসলাম ত্রাণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ; ভাগ্নে মনিরুজ্জামান মনির ভোলা সদর পৌরসভার মেয়র জেলা কমিটির সদস্য, ভাতিজা ইফতেখারুল আলম স্বপন জেলা কমিটি সদস্য ও সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভাগ্নে মো. রফিকুল ইসলাম বোরহাউদ্দিন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। ভায়রা আবুল কালাম আজাদ বোরহান উদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান; ভাগ্নের শ্বশুর জাকির দৌলতখান পৌর মেয়র; ভাতিজি জামাই আক্তার হোসেন লালমোহন উপজেলার কালমাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান; ভাতিজা খোকন জেলা পরিষদের সদস্য, ভাগ্নে রিয়াজ বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। ভাগ্নে জামাই কামরুল হাসান বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান; বেয়াই মোশারফ হোসেন দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এমপি মুকুলের খালাতো ভাই আলমগীর হোসেন দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। পুতরা এমদাদ হোসেন কবি ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান; ভাগ্নে মনিরের বেয়াই শামীম ভোলা পৌরসভার কাউন্সিলর, ভায়রার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ ইউনুস ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, ভায়রার মেয়ের জামাইয়ের বড় ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ জেলা পরিষদের সদস্য। ভাগ্নে তাজউদ্দিন খান পৌর যুবলীগ সভাপতি ও কাউন্সিলর, পুত্রা সোহাগ পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর।
ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। তার স্ত্রী লালমোহন উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি। শাওনের বেয়াই ইমাম হোসেন হাওলাদার লালমোহন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর। চাচা আব্দুর রাজ্জাক পাঞ্চায়েত লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, চাচা দিদারুল ইসলাম অরুন লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, চাচা সফিকুল ইসলাম বাদল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, চাচা আনোয়ারুল ইসলাম রিপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চাচাতো ভাই মোশারফ হোসেন সোহেল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ভাগ্নে আবুল হাসান রিমন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, চাচাতো ভাই জাকির পাঞ্চায়েত শ্রমিক লীগ সভাপতি, চাচাতো ভাই হাসানুজ্জামান সোহাগ পাঞ্চায়েত উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরহাদ হোসেন মেহের পৌর যুবলীগ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর, ভাগনি জামাই রায়হান মাসুম যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর, মর্তুজা সচিব পাঞ্চায়েত পৌর ছাত্রলীগ সভাপতিসহ প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্যায়ে আরো অনেক পদ-পদবি রয়েছে তাদের আত্মীয়স্বজনের।
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বর্তমানে আছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের পরিবার দলের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পদ দখল করে রয়েছেন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির স্ত্রী কামরুন নাহার শরীফ ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি; মেয়ে মাহজেবীন শিরীন পিয়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। তার স্বামী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী পৌর মেয়র। শামসুর রহমান শরীফের ছেলে সাকিবুর রহমান শরীফ কনক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। ছেলে শীরহান শরীফ তমাল ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। শামসুর রহমান শরীফের ভাই আনিচ উর রহমান শরীফ ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পরিবারতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বাড়ছেই। বর্তমান সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি মেয়র, তার স্ত্রী শাহীন আকতার রেনী মহানগগের সহ-সভাপতি, মেয়ে ডা. অর্ণা জামান ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর ইকবাল। তার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যাও কম নয়। তার শ্যালক ডাবলু সরকার মহানগর সেক্রেটারি; আরেক শ্যালক জেডু সরকার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি। আরেক শ্যালক সেডু সরকার ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি। আব্দুল হামিদ সরকার টেকন নগর আওয়ামী লীগের সদস্য। মীর ইকবালের পুত্র মীর ইসতিয়াক লিমন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক।
এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কম-বেশি অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট একটি পরিবারের কাছে বন্দি হয়ে আছে আওয়ামী লীগ। তাদের চিন্তা-চেতনা পুরো কমিটির সকল পদই যেন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে জীবনে কোনো ধরনের রাজনীতিই করেনি, আত্মীয়তার কারণে বড় পদ পাচ্ছে তারা। একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে জাতীয় নির্বাচনে এমপিদের কাছ থেকে টাকার সুবিধা নিচ্ছে, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অনেক টাকার বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে তারা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন চলছে। আত্মীয়করণের বিষয়টি অতীতে হয়েছে তবে এবারের ত্যাগী, সৎ, দক্ষ, অপরাধী বা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নন- এমন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য তৃণমূলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ইতোমধ্যে গণভবনে প্রবেশ নিষেধ এবং বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ল²ীপুর-৩ আসনের এমপি ও সাবেক বেসামরিক বিমান মন্ত্রী শাহজাহান কামাল শ্রমিক লীগের এক সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে উদ্দেশ করে বলেছেন, দলের একটা কার্যালয় নেই, অথচ দলকে ব্যবহার করে অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া নয়ন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিকট থেকে দলীয় খরচের নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় এমপি প্রার্থীদের কাছ থেকেও তিনি খরচের জন্য কোটি টাকা নিয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। আর হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের কথা আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে মুখে। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও তিনি বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-