গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •
সারাবিশ্বে পর্যটন নগরী হিসাবে ক্ষ্যাত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। সেই দ্বীপে গত তিন দিন ধরে আটকাপড়ে বেড়াতে আসা ১২শ পর্যটক।
কারণ গত ৮ নভেম্বর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সমস্ত নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে আটকা পড়ে ১২০০ পর্যটক। অবশেষে তিন দিন পর আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রবালদ্বীপ আটকা পড়া ১২শ পর্যটক ফিরিয়ে আনার জন্য সকালে একটি যাত্রীবাহি জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে।
এদিকে আটকা পড়া পর্যটকরা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহাম্মদ। তিনি আরো বলেন আমরা সার্বক্ষনিক তাদের খোঁজখবর রেখেছি। যাতে তারা কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়। পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরা থেকেও তাদেরকে ৫০% ডিসকাউন্টও দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আটলান্টিক ক্রুজের টেকনাফের ইনচার্জ মোঃ আজিজ জানান,আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায়, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আটকা পড়া পর্যটকদের নিয়ে আসতে সোমবার সকাল ১০ টায় দমদমিয়া জাহাজ ঘাট থেকে বিলাস বহুল ৩টি জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান-ঘুর্নিঝড় ‘বুলবুল’এর প্রভাব, সাগর উত্তাল থাকার কারনে সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে গত তিন দিন ধরে দ্বীপে আটকা পড়ে ১২ পর্যটক।
তারা যেন কোন প্রকার হয়রানি ও অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য আমরা সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
এখন আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হয়েছে। তাই আটকা পড়া পর্যটকদের দ্বীপ থেকে নিয়ে আসার জন্য সকাল ১০টায় ৩টি জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপের উর্দ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-