টেকনাফ প্রতিনিধি •
কক্সাবাজারের সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে আটকা পড়া প্রায় ১২
শতাধিক পর্যটকের জন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ৫০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে দ্বীপের ১০৬টি আবাসিক হোটেল-কটেজকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা সম্বলিত নির্দেশনাপত্র বিতরণ করেন সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদসহ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ সময় ৪০টি রেস্টুরেন্টকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য না রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া পর্যটকসহ কারো কোনো অভিযোগ থাকলে ইউপির চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগোযোগ করতে বলা হয়েছে।ৎ
এসব তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের ডিসি মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বেড়াতে এসে পর্যটকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছেন। তাদের কোনোভাবে হয়রানি করা যাবে না। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেক পর্যটকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। তারা সবাই নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। সংকেত কেটে গেলে তাদের ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে।
সেন্টমাটিনে সি-ফাইন্ড রিসোট ও সি-ব্লু রিসোটের পরিচালক এম এ রহিম বলেন, আটকা পড়া পর্যটকদের কাছ থেকে দ্বীপের প্রতিটি হোটেল-কটেজ কর্তৃপক্ষ অর্ধেক করে কক্ষ ভাড়া নিচ্ছেন।
ইউরো বাংলা, কোরাল ভিউ ও এশিয়া বাংলার খাবার হোটেল (রেস্টুরেন্ট) পরিচালক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটকদের কাছ থেকে অর্ধেক মূল্যে খাবার বিক্রয় করা হচ্ছে। এরপরও নৌবাহিনী ও কোস্টগাড সদস্যরা সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করছেন।
সেন্টমাটিন-টেকনাফ সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ আলম বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় নৌপথে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বাতাসসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্বীপে বেড়াতে এসে ১২ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের কাছ থেকে হোটেল-কটেজ ও খাবার থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করতে নির্দেশনা জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাগর উত্তালের পাশাপাশি সতর্ক সংকেত থাকায় পর্যটকেরা আজও ফিরে যেতে পারেনি। সমুদ্রে গোসলে না নামতে হ্যান্ডমাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার চারটি পর্যটকবাহী জাহাজ, কয়েকটি ট্রলার ও স্পিডবোট যোগে ১২ শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-