মোঃ জয়নাল আবেদিন •
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মোট আবেদনকারীর ‘এ’ইউনিটে ৬৫ শতাংশ ও ‘বি’ ইউনিটে ৭২ শতাংশ উপস্থিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ইউনিট প্রধান থেকে জানা যায়, ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) সাতটি বিভাগে ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ২৬ হাজার ৯৭৫ জন যেখানে উপস্থিত হয় ১৭ হাজার ৪৩৪ জন।
‘বি’ ইউনিটে (কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) আটটি বিভাগে ৪৫০টি আসনের বিপরীতে ২৮ হাজার ২৯৫ জনের আবেদনে উপস্থিত হয় ২০ হাজার ৩০৪ জন।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা নগরীর ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রি শাখা-২) কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল, ব্যাগসহ প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, সানগ্লাস, সিম/ক্রেডিট কার্ড বা কোনো ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। এমন সিদ্ধান্তের পরেও শিক্ষার্থীদের তল্লাশি ছাড়াই ভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়ক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আর এগুলো তো প্রশাসন এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা দেখবে।’
ভিক্টোরিয়া কলেজ (উচ্চ মাধ্যমিক শাখা) শাখা ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতা-কর্মীরা সকাল ৯:৪৫ এ মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়নি।
কোর্টবাড়ি – কোর্টবাড়ি বিশ্বরোড়ে দীর্ঘ চার ঘন্টা যানজট দেখা দেয়। রাস্তার পাশে মাটি জমাট ও প্রশাসনের অসতর্কতার কারণে যানজটের কারণ বলে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। আর পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে বিষয়টি নিয়ে সবাই সজাগ থাকবো।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-