মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
শুক্রবার ৮ নভেম্বর জুমার নামাজের জন্য ইজতেমা ময়দানে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জুমার নামাজে কমপক্ষে এক লক্ষ মুসলমান ইজতেমা ময়দানে জুমা আদায় করবেন বলে আয়োজনকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এটি হবে জেলার সবচেয়ে বৃহত্তম জুমার নামাজের জামায়াত। জুমার নামাজের ব্যাপকতার কারণে মুসল্লীদের জায়নামাজ ও চট সাথে করে আনার জন্য আয়োজনকারীরা মুসল্লীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা তাবলীগ জামায়াতের শুরা সদস্য মাওলানা আতাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মুসলমানদের কক্সবাজার জেলার সর্ববৃহৎ জমায়েত তাবলীগ জামায়াতের কক্সবাজার জেলা ইজতেমা। জেলা তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বী মুফতি মাওলানা মোরশেদ আলম আম বয়ান করেন। এর পর থেকে শুরু হয় মুরব্বিদের ধারাবাহিক বয়ান।
এদিকে, ঢাকার কাকরাইল থেকে কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল সকালে কক্সবাজার এসে পৌঁছেছে। মুরব্বিরা কক্সবাজার আসার পর স্থানীয় দায়িত্বশীলদের আলোচনা করে তাঁরা আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচী নির্ধারণ করেন।
ইজতেমায় দলে দলে সাথীরা আসতে শুরু করেছেন। হলিডে মোড় হতে জেলে পার্ক, বিয়াম স্কুল, ডায়াবেটিক হাসাপাতাল সড়ক যেন আগত তাবলীগ জামায়াতের সাথীদের পদচারণায় মুখরিত। সেখানে শুধু মানুষ আর মানুষ। সাথীদের ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত সেখানকার আকাশ বাতাস। আয়োজনকারীদের মতে, বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার থেকে ৩৭ হাজার সাথী ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হয়েছেন।
ইজতেমার শৃংখলা রক্ষায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সহস্রাধিক তাবলীগ জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবক ইজতেমার শৃংখলা সুরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন বলে আয়োজনকারীরা জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-