মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
একজন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ লোক তার একমাত্র পুত্রের নির্যাতনে অসহায় হয়ে বিচার চাইতে যান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এর কার্যালয়ে। বৃদ্ধ তার ছেলের খাবার দাবার না দেওয়া ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরতেই এক পর্যায়ে এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম কৌতুহলী হয়ে শ্রদ্ধার সাথে বৃদ্ধ থেকে জানতে চাইলো আপনিও কি আপনার বাবাকে এরকম খাবারে দাবার ভরনপোষণ দিতেন না? এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এর এরকম প্রশ্নের জবাবে বৃদ্ধ অকপটে সহজ সরলভাবে জবাব দিলো হ্যাঁ বাবা, বিয়ে করার পর আমি শ্বশুর বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এটাকে প্রকৃতির বিচার ও ধর্মীয় নির্দেশনার চরম লংগন বলে উল্লেখ তাঁর দেওয়া ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম এর বুধবার ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ১০ টা ৭ মিনিটে তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এই শিক্ষনীয় স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
“আজ শেষ বিকেলে একজন ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি অভিযোগ নিয়ে আমার অফিসে আসলেন। অভিযোগটি নিজের ছেলের বিরুদ্ধে। এই বয়সে একমাত্র ছেলে বাবাকে খাবার দেয় না, আবার কথায় কথায় গায়ে হাত তোলে। একাধিকবার এলাকায় সালিশ বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এখন পুলিশের সহযোগিতা চান। সব শুনে খুব খারাপ লাগলো। এখনতো পিতা মাতার ভরনপোষনের জন্য আইন আছে। এসব চিন্তা করতে করতেই হঠাৎ করে বৃদ্ধকে প্রশ্ন করলাম, বাবাজি আপনি নিশ্চয়ই আপনার বাবাকে ঠিক মত খাবার দিতেন না? কাঁদতে কাঁদতে মুরুব্বির সরল স্বীকারোক্তি-‘হ্যা বাবা আমি বিয়ের পর পর শ্বশুর বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। বাবা-মায়ের কোন খোঁজ খবর রাখি নাই’। মুরুব্বির সরল স্বীকারোক্তিতে মনে হল-এটা প্রকৃতির বিচার যা ধর্মীয় নির্দেশাবলীতেও উল্লেখ আছে।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-